শারীরিক প্রতিবন্ধী, এতিম থেকে শুরু করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর স্বপ্নপূরণের সারথি যেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার ‘মানবিক হাত’।
চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী আলিফ বিন জাফরীকে ট্রাইসাইকেল তুলে দেন ‘মানবিক ডিসি জাহিদুল’। মুহাম্মদ আলী জাফরী ও তাফহীমা আকতারের ছেলে আলিফ জাফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছেন মা। ছেলের জন্য একটি ট্রাইসাইকেল কেনা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) আলিফ ও তাঁর মায়ের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করলেন ডিসি।
একই অনুষ্ঠানে হজরত শাহসুফি মমতাজিয়া এতিমখানার ৪০ শিশুকে পোশাক ও শিক্ষা উপকরণ উপহার দেন জেলা প্রশাসক।
মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, মানবসেবা নিয়ে ডিসি স্যারের প্রতিটি কথা আমাদের খুব ভালো লেগেছে। এতিম শিশুদের দেখে তিনি অত্যন্ত উৎফুল্ল হন। নিজহাতে শিশুদের উপহার বিতরণ করায় তারা ভীষণ আনন্দিত হয়েছে।
ডিসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, মানুষের মধ্যে মানবিকতা ও মূল্যবোধ না থাকলে কোনো মূল্যই থাকে না। অন্যের সমস্যা অনুভব করতে পারলেই সৃষ্টির সেরা জীব হওয়া যায়।
চন্দনাইশ উপজেলা পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তিনি চন্দনাইশ থানা পরিদর্শন করেন এবং উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশনা দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনসহ উপজেলা পর্যায়ের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
এরপর উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপকারভোগীদের মাঝে সরকারি সহায়তা বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার ও ট্রাইসাইকেল, সুবর্ণ নাগরিক কার্ড, কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ,
এতিম শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও পোশাক এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঝে ক্রীড়াসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব হোসেন ও সহকারী কমিশনার ঝুন্টু বিকাশ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসক পটিয়া উপজেলা পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।







