মরক্কোতে চতুর্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভের উপস্থিতির প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় উল্লেখ করেছে, এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মরক্কোর মারাকেশে চতুর্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রতিনিধির বক্তৃতা থেকে কিছু কিছু মহল তাৎক্ষণিক ওয়াক আউটের ভুল ব্যাখ্যা করছে।
তবে এটা জানানো যাচ্ছে যে, যেসব দেশ ওয়াক আউট করেছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলও ছিল।
বার্তায় আরও বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনি ইস্যু, ইসরায়েলি গণহত্যা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ দমন-পীড়নের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বজনবিদিত।
এ বিশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, মরক্কোর মারাকাশে ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভের উপস্থিতির প্রতিবাদ জানিয়ে বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিক সম্মেলনে ওয়াক আউট করেছেন।
মরোক্কান আদালত মিরি রেগেভের সেদেশে প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের একটি আপিল প্রত্যাখ্যান করে। এরপর মিরি রেগেভ ১৮ ফেব্রুয়ারি সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য মারাকেশে পৌঁছেছিলেন।
আদালতের মামলায় তাকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
মরক্কোতে ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নাজনীন হোসেন, গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ব্র্যাক রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ ও সিআইপিআরবি’র ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরীসহ বাংলাদেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন







