আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আনোয়ারা উপজেলাবাসীদের এবারের নির্বাচনে স্বপ্ন দেখাতে নয় স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি ও শিক্ষিত জাতি গঠনের প্রয়াসে শীর্ষ আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আবু জাফর। তিনি ইতোমধ্যে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তার প্রতীক হলো টিয়া পাখি।
বেকারত্বের সমস্যায় জর্জরিত আনোয়ারা উপজেলার শিক্ষিত যুবসমাজের আত্মনির্ভরশীল করতে কর্মসংস্হান সৃষ্টিসহ, আধুনিক, সমৃদ্ধশালী স্মার্ট আনোয়ারা উপজেলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এবারের উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের মাঠের হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তুলতে পারেন তিনি।
তৃণমূল থেকে বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিবারের প্রবীণ তথা নতুন সম্ভবনাময়ী মুখ আবু জাফর তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সময়োপযোগী নেতৃত্ব। তিনি আনোয়ারাবাসীকে গতানুগতিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্বপ্ন দেখাতে চান বড় বড় মেগা প্রজেক্ট আনোয়ারায় এনে তা বাস্তবায়ন করে সারাদেশের মধ্যে অনুকরণীয় স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে।
জানা যায়, মোহাম্মদ আবু জাফর এর জন্ম ও বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের পশ্চিম বারখাইন গ্রামে। বাবা আলহাজ্ব মীর আহম্মদ। উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার পর কর্মদক্ষ্য, মানুষের বিপদের আপনজন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষার হার বাড়ানো, সৎ ও সততার উত্তম সমন্বয়ে মোহাম্মদ আবু জাফর নিজেকে গড়ে তুলেছেন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে।
মোহাম্মদ আবু জাফর ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। আনোয়ারায় শিক্ষা-দীক্ষায় অবহেলিত ঝিওরী-বারখাইন-শিলাইগড়া অঞ্চলের বন্ধুবান্ধবকে সুসংগঠিত করে এবং তৎকালীন এম.পি আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র সার্বিক সহযোগিতায় ঐ অঞ্চলে ১৯৭২ সালে ঝি.বা.শি উচ্চ বিদ্যালয়(বর্তমান নাম-ঝিওরী বারখাইন শিলাইগড়া উচ্চ বিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭৪ সালে উদ্যেক্তাগণকে সুসংগঠিত করে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বারখাইন জামেয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু জাফর শতভাগ বাস্তবায়ন করার সম্ভাবনার জায়গা থেকে আনোয়ারাবাসীকে স্বপ্ন দেখাতে চান ও তা বাস্তবায়নে কাজ করতে চান। তিনি মনে করেন সরকারি বা বিদেশি প্রজেক্ট এনে আনোয়ারায় বড় বড় প্রজেক্ট এনে এই জনপদকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে দেওয়া সম্ভব। শতভাগ আত্নবিশ্বাসী আবু জাফরের সামনে যে সময় ও সুযোগ এসেছে তা আনোয়ারার উন্নয়নে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে চান তিনি। আবু জাফরকে আনোয়ারা উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় আনোয়ারা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
গরিব-দুঃখী-মেহনতী মানুষের বন্ধু, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এই নেতা যদি আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান হতে পারেন তাহলে আনোয়ারায় শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করেন আনোয়ারাবাসী। তাই এবারের উপজেলা নির্বাচনে আবু জাফরকে টিয়া পাখি মার্কায় ভোট দানের মাধ্যমে নির্বাচিত করে দেশ সেবা তথা আনোয়ারা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণকে সেবা করার সুযোগ চান আপামর জনতা।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, “আনোয়ারা উপজেলা জুড়ে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কর্মদক্ষতা সৃষ্টি করতে ব্যাপক পরিসরে কাজ করা দরকার তাই বেকার যুবসমাজের নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং এর ব্যবস্হা করে ঘরে বসে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার ব্যবস্হা করতে তিনি কাজ করতে চান। সেইসাথে কর্মমুখী শিক্ষা সম্প্রসারণে কাজ করতে চান তিনি। তিনি এমন একটা যুবজাগরণের স্বপ্ন দেখেন যেখানে ছোটরা বড়দের সম্মান আর বড়রা ছোটদের স্নেহ করবে, সন্ত্রাসমুক্ত মাদকমুক্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সাম্ম্যের জনপদ গড়ে তুলতে চান তিনি। বহু রাস্তাঘাট এখনো চলাচলের অনুপযোগী ও প্রয়োজনের তুলনায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন অপ্রতুল এরূপ অনেক বিষয় সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার আওতায় এনে উন্নয়ন নিশ্চিত করে আনোয়ারা উপজেলাকে দেশের মধ্যে অনুকরণীয় উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি।
আনোয়ারার প্রবীণ রাজনীতিবিদ ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আবু জাফরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচিতি:
রাজনৈতিক পরিচিতি:
(১) সভাপতি, ৬ নং বারখাইন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, ১৯৬৭(জাফর-সবুর পরিষদ)
(২) সাধারণ সম্পাদক, আনোয়ারা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ১৯৬৯
সভাপতি- বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিচ আনোয়ারী।
(৩) প্রচার সম্পাদক, আনোয়ারা থানা ছাত্রলীগ, ১৯৭২
(আবুল মনসুর-কাজী ইউসুফ পরিষদ)
(৪) সদস্য,চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগ ,১৯৭৪
(মোহাম্মদ হোছাইন-মাহবুবুর রহমান চৌধুরী পরিষদ)
(৫) সহ-সম্পাদক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ
(এম.এন.ইসলাম-এম.এ জাফর পরিষদ)
(৬) সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ,১৯৮১
(এম.এ.মান্নান-আ.ক.ম শামসুজ্জামান পরিষদ)
(৭) সভাপতি, আনোয়ারা থানা ছাত্রলীগ,১৯৮৩
(আবু জাফর-হান্নান চৌধুরী মঞ্জু পরিষদ)
(৮) সাধারণ সম্পাদক, ৬নং বারখাইন ইউনিয়ন
আওয়ামীলীগ,১৯৮৪
(আবদুল মাবুদ চৌধুরী-আবু জাফর পরিষদ)
(৯) ক্রীড়া সম্পাদক ও যুব সম্পাদক,
আনোয়ারা থানা আওয়ামীলীগ,১৯৮৪
(শামসুদ্দিন-মনসুর পরিষদ)
(১০) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আনোয়ারা থানা
আওয়ামীলীগ,১৯৯২
(কালাম-মনসুর পরিষদ)
(১১) সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ
(আখতারুজ্জামান চৌধুরী -মোসলেম উদ্দিন পরিষদ)
(১২) ১নং যুগ্ম আহবায়ক, আনোয়ারা থানা
আওয়ামীলীগ, ২০০৩
আহবায়ক- এম এ হক।
(১৩) উপদেষ্টা, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগ
(এম.এ মান্নান-মালেক পরিষদ)
(১৪) উপদেষ্টা , আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগ
(এম.এ মান্নান-জসিম পরিষদ)
* মধ্যবর্তী সময়ে ২ বার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
সামাজিক পরিচিতি:
(১) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
ঝিওরী-বারখাইন-শিলাইগড়া উচ্চ বিদ্যালয়।
(২) গভর্নিং বডির সদস্য
এস.এম.আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ।
(৩) জমি দাতা সদস্য ও সাবেক গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী
সদস্য,
বারখাইন জামেয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা।
(৪) জমি দাতা সদস্য
পশ্চিম বারখাইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
(সাইক্লোন শেল্টার)
(৫) সাবেক সভাপতি,
কোষ্টার যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও কোষ্টার চলাচল বাস্তবায়ন
কমিটি, আনোয়ারা উপজেলা।
অন্যান্য:
(১) ১৯৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ১১ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ আন্দোলন, জিয়া বিরোধী আন্দোলন, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, খালেদা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
(২) ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের জনসভায় যোগদান।আনোয়ারা হতে যোগদান করেছিলেন- আবু জাফর, জামাল খান, অলি আহমদ।
(৩) মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
(৪) ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্ডারগ্রাউন্ডে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ।
(৫) ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে এম.এ মান্নান ও আ.ক.ম শামসুজ্জামান এর সাথে আনোয়ারা-বাঁশখালিতে আওয়ামীলীগ এর পক্ষে গোপন প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি প্রচার প্রচারণার সুবিধার্থে পটিয়ার আ.ক.ম শামসুজ্জামান ও বোয়ালখালীর এম.এ.মান্নানকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় প্রদান করে আওয়ামীলীগ এর গোপন রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
(৬) ১৯৭৮ সালের আওয়ামীলীগের পক্ষে এম.এ.জি ওসমানীর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
(৭) ১৯৭৯ সালের সাধারন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর মনোনীত প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর পক্ষে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
(৮) ১৯৮১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর মনোনীত প্রার্থী ড. কামাল হোসেনের পক্ষে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
(৯) ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর মনোনীত প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর পক্ষে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। উক্ত নির্বাচনে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বিজয় লাভ করেন।
(১০) ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর মনোনীত প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর পক্ষে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।উক্ত নির্বাচনে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বিজয় লাভ করেন।
(১১) ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান খান কায়সারের পক্ষে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
(১২) ২০০১, ২০০৮ ও তার পরবর্তী সময়ে সকল নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।