সংসদে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রীর আক্ষেপ; ১৩০০ ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেও ভাঙতে পারিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা ১৩০০ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম, যেগুলো গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। কিন্তু সেগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও এক প্রকার দায়মুক্তি দেয়া।’

নিজের মন্ত্রিত্বের আমলে এক হাজার তিনশ’ ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেও সেগুলো ভাঙতে না পারার আক্ষেপ জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছেন সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, ওইসব ভবন মন্ত্রণালয় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। তারপরও সেই ভবনগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি।

শনিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাতে দায়মুক্তির সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

‘২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পর গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম। তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে আমরা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য, সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি রিপোর্ট দেয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তারপর চার্জশিট দেয়ার সময় অনেককে বাদ দেয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আজ পর্যন্ত সে মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি।’

সরকারি দলের এই সদস্য বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে একটি ফ্যাক্টরিতে ৫২ জন লোককে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো (২০২১ সালে)। সে মামলার আসামিরা জেলে গেছে। সে বিচার আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি। এরকম অনেক ঘটনা আছে।

‘এ জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করতে হবে। নাহলে অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সে সময় ১৩০০ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম, যেগুলো গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। কিন্তু সেগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও এক প্রকার দায়মুক্তি দেয়া।’