ইমরানের দাবি উপেক্ষা, নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ আইএমএফ

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের দাবিকে উপেক্ষা করে শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আইএমএফের মুখপাত্র জুলি কোজ্যাক। খবর জিও নিউজের।

সংবাদ সম্মেলনে জুলি কোজ্যাক বলেন, ‘পাকিস্তানের সব নাগরিকের জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত’।

পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির কারণে অর্থসহায়তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আইএমএফকে ইমরান খান চিঠি লিখবেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন পিটিআই নেতা আলী জাফর। সেদিনই আইএমএফকে ইমরান খানের চিঠি লেখার কথা ছিল।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের আলী জাফর বলেছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অন্যান্য সংস্থার সনদে বলা হয়েছে, সুশাসন থাকলেই তারা একটি দেশে কাজ করতে পারে বা ঋণ দিতে পারে। এসব সংস্থার সনদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো, একটি দেশকে গণতান্ত্রিক হতে হবে। যদি গণতন্ত্র না থাকে, তা হলে এসব প্রতিষ্ঠান সেসব দেশে কাজ করতে পারে না, তাদের কাজ করা উচিতও নয়। আর গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হলো— একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

এ সময় তিনি পাকিস্তানে নির্বাচনে ভোটের আগে কারচুপি এবং ভোটপরবর্তী কারচুপিতে পিটিআইয়ের বিজয়ী প্রার্থীদের জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।’

সংবাদ সম্মেলনে জুলি কোজ্যাককে ইমরান খানের এবারের নির্বাচনি ফলের অডিটের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি চলমান রাজনৈতিক অগ্রগতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না’।

জুলি কোজ্যাক জানান, গত ১১ জানুয়ারি ঋণদাতা স্ট্যান্ডবাই অ্যারেঞ্জমেন্টের (এসবিএ) অধীনে মোট বিতরণ ১.৯ বিলিয়ন নিয়ে এসেছে। এই প্রোগ্রামটি পাকিস্তানের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের এই কর্মকর্তা পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে বলেও মন্তব্য করেছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ চলতি বছর বকেয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ঋণ পরিশোধে আগত সরকারকে সাহায্য করার জন্য আইএমএফের কাছ থেকে কমপক্ষে ৬ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ চাওয়ার পরিকল্পনা করছে। একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটি আইএমএফের সঙ্গে একটি বর্ধিত তহবিল সুবিধা নিয়ে আলোচনারও চেষ্টা চালাবে। এ বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা মার্চ বা এপ্রিলে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।