‘হে আল্লাহ আমাদের অন্তর থেকে কুফরি, মোনাফেকি দূর করে দাও। হে আল্লাহ তোমার নির্দেশিত পথে চলার তৌফিক দাও। হে আল্লাহ, আমাদের সকল নেক চাহিদা পূরণ করে দাও। হে রাহমানুর রাহিম আমাদের ওপর রহম করো।
আমাদেরকে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি দাও। আমাদের ওপর দয়া করো, যেভাবে তুমি তোমার নেক বান্দাদের ওপর রহম করেছ। হে আল্লাহ, আমাদের পরিপূর্ণ ঈমান দাও। তোমার আজাব থেকে পরিত্রাণ দিয়ে জান্নাত নসিব করো।
জাহান্নামের আগুন আমাদের জন্য হারাম করে দাও। বিশ্বের সকল মুসলিমকে হেফাজত করো। সকল আসমানি বালা আসমানে উঠিয়ে নাও, জমিনের বালা জমিতে দবিয়ে দাও। সকল প্রকার ষড়যন্ত্র থেকে তুমি মুসলমানদের হেফাজত করো।
আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে ৯টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
কায়মনোবাক্যে আকুতি জানিয়ে মোনাজাতে আরো বলা হয়, হে আল্লাহ আমাদের জিন্দেগির গুনাহ মাফ করে দাও। যে মাফ চায় তাকে তুমি মাফ করে দাও। হে আল্লাহ আমরা গুনাহ স্বীকার করতেছি। প্রিয় হাবিবের এতিম উম্মতকে মাফ করে দাও।
হে আল্লাহ তুমি তো ক্ষমাশীল, তোমার কাছেই আমরা ক্ষমা চাইব। তোমার দ্বিনের ওপর আমাদের চলা সহজ করে দাও। হে আল্লাহ, তুমি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যাও। হে আল্লাহ আমাদের দুনিয়ার জিন্দেগি সহজ করে দাও, শান্তির জিন্দেগি নসিব করে দাও, আখেরাতের জিন্দেগি নসিব করে দাও। হে আল্লাহ আমাদের দিলে তোমার জিকির নসিব করে দাও, লোক দেখানো লেবাস খতম করে দাও। হে আল্লাহ আমাদের পেরেসানির রাস্তা বন্ধ করে দাও, হকের রাস্তা খুলে দেওয়া তো তোমারই কাজ।
হে আল্লাহ, ইজতেমাকে কবুল করো। ইজতেমার আয়োজনে যারা শ্রম দিয়েছে তাদের কবুল করো। যারা তোমার কাছে হাত তুলেছে সবাইকে তুমি কবুল করো। ইজতেমার বক্তা ও শ্রোতা সকলকে তুমি কবুল করো। সারা বিশ্বের মুসলমানের জান-মালকে তুমি হেফাজত করো, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দাও। দাওয়াতে তাবলিগকে বিশ্বব্যাপী প্রসারিত করো’- ইত্যাদি গভীর আকুতিপূর্ণ মিনতি, অসীম অনন্ত প্রেমময় আল্লাহর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ ও অশ্রুসিক্ত আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রবিবার শেষ হলো পবিত্র হজের পর মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ তাবলিগ জামাতের ৫৭তম আসরের আললি শূরার তত্ত্বাবধানে শূরায়ে নেজামের বিশ্ব ইজতেমা।
মোনাজাতে সমগ্র বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, মুক্তি, সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা, ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করে, বিভেদ ভুলে ঐক্যের আহ্বানে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে কাকুতি-মিনতি জানানো হয়। নানা ঝক্কি-ঝামেলা উপেক্ষা করে গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমিন, আল্লাহুমা আমিন’, ধ্বনিতে টঙ্গীর আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে মহামহিম ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে অপার করুণা ও রহমত কামনা করে রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশের ৩০ লক্ষাধিক মুসল্লি ছাড়াও আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের অর্ধশতাধিক বিদেশি রাষ্ট্রের আট সহস্রাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
সকাল থেকে দিকনির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখো মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে সকাল ৯টায়। জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে আবেগঘন পিনপতন নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে গতকাল লাখ লাখ মুসলমান যেন বাঁধ ভাঙা স্রোতের মতো ছুটছিলেন টঙ্গী অভিমুখে। রাজধানী ঢাকা ছিল প্রায় ফাঁকা। টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণিবিতান, অফিসসহ সব কিছু ছিল বন্ধ। এ ছাড়া শিল্পনগরী টঙ্গীর হাজারো বহুতল ভবনের ছাদে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মা ও বোনেরা এ আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। সবার প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লিদের সঙ্গে মোনাজাতে শরিক হয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।
এবার বিশ্বের ৭২টি দেশের আট হাজার বিদেশি মেহমান ইজতেমায় শরিক হন।
বাঁধভাঙা গণজোয়ার:
আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা টঙ্গী অভিমুখে ছুটতে থাকেন। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ মুসল্লি ছাড়াও রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ ভিড় এড়াতে নানা ঝক্কি-ঝামেলা উপেক্ষা করে রাতেই টঙ্গীমুখো হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আল্লাহপ্রেমী মুসলমানরা রেলপথ, সড়কপথ, নৌপথসহ বিভিন্ন যানবাহন এবং অনেকে পায়ে হেঁটে টঙ্গীতে পৌঁছে অবস্থান নিতে শুরু করেন। যতই সময় গড়াতে থাকে ততই মানুষের ঢল আছড়ে পড়তে থাকে তুরাগের তীরে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের সমাবেশ ঘটে আখেরি মোনাজাতে।
সকাল থেকে সড়কপথে টঙ্গীমুখী সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ হেঁটে টঙ্গী পৌঁছতে হয়েছে লাখো মানুষকে। শনিবার মধ্যরাত থেকে নদীপথ, রেলপথ ও যানবাহনশূন্য সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার শুরু হয়। চারদিকে যত দূর চোখ যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবি পরা ধর্মপ্রাণ মানুষ আর মানুষ। সকাল ৮টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় তুরাগতীরের পুরো ইজতেমাস্থল ও চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে আশপাশের খোলা জায়গা, বাসা-বাড়ি, ভবন, ভবনের ছাদ ও অলি-গলিসহ যে যেখানে পেরেছেন পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে কাঙ্ক্ষিত মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেছেন।
সমাপনী ও হেদায়াতি বয়ান:
সকালে ইজতেমার মোনাজাতের আগে বাদ ফজর হেদায়াতি বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক (রাইবেন্ড)। এরপর নসিয়তমূলক বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। তিনি ইমান, নামাজ, আমল, তালিম, এলেম, জিকির, দাওয়াতের গুরুত্ব তুলে ধরে বয়ান রাখেন। মোনাজাতপূর্ব বয়ানে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে তাবলিগ ও দাওয়াতে মেহনতের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ফিরতি যাত্রায় বিড়ম্বনা ও যানজট:
গতকাল বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে মানুষ একসাথে ফেরার সময় সড়ক-মহাসড়কগুলোতে জনজট ও যানজটে একাকার হয়ে গিয়েছিল। এ অবস্থাটি আখেরি মোনাজাতের পর প্রতিবছরই ঘটে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। চার-পাঁচ দিন ধরে টঙ্গীতে জমায়েত হওয়া মুসল্লিরা একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে চাইলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। হাজার হাজার বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর ও মহিলা মাইলের পর মাইল হেঁটে মোনাজাতে শরিক হন এবং একইভাবে ফেরেন। দুপুরের পর সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
দূর-দূরান্তের যাত্রীদের রিকশা-ভ্যান, টেম্পো, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানে চড়ে ভেঙে ভেঙে বাড়ির উদ্দেশে রওন দিতে দেখা গেছে। অপরদিকে টঙ্গী স্টেশনে ফিরতি যাত্রীদের জন্য অপেক্ষমাণ ট্রেনগুলোতে উঠতে মানুষের জীবনবাজির লড়াই ছিল উদ্বেগজনক। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে ছাদে ও দরজা-জানালায় ঝুলে শত শত মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরতে দেখা যায়। একপর্যায়ে মানুষের জন্য ট্রেন দেখা যাচ্ছিল না।
পরিত্যক্ত জুতা ও পত্রিকার কাগজ:
আখেরি মোনাজাত শেষে হুড়োহুড়ি করে ইজতেমা ময়দান থেকে বের হতে গিয়ে অগণিত জুতা ও স্যান্ডেল ফেলেই খালি পায়ে মাঠ ত্যাগ করেন ধর্মপ্রাণ অনেক মুসল্লি। এ ছাড়া মোনাজাত শেষে ইজতেমা মাঠ ও আশপাশের সড়কগুলোকে বিপুল পরিমাণ পত্রিকার কাগজ, জুতা ও স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় কিছু লোক ও টোকাইদের পরিত্যক্ত জুতা ও স্যান্ডেল বস্তায় ভরে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে ১৯ মুসল্লির মৃত্যু:
বিশ্ব ইজতেমায় আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ ১৯ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ১৩ জন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন নিয়ে মোট ১৯ জন মারা গেলেন।
নিহতরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার সানোয়ার হোসেন (৬০), চট্টগ্রামের আনোয়ারার জলিলের ছেলে আলম (৫৬), নরসিংদীর নুরুল ইসলামের ছেলে শাহনেওয়াজ (৬০), সিরাজগঞ্জ জেলার ওসমান গনির ছেলে আল মাহমুদ (৭০), শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা সদরের পরানগঞ্জ সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোনা সদরের খালিয়াজুরি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোনা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০), টঙ্গীর বসির মিয়ার ছেলে আ. জব্বার (৫৫)। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া ছয়জন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০) মারা যান, শেরপুরের আমেলা খাতুন (৬০), ঢাকার মিরপুর সাড়ে এগারর বাসিন্দা মোশাররফ আহমেদের ছেলে মোবাশ্বের আহমেদ (৬৮) ও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
তাশকিলের কামরায় চিল্লাভুক্ত মুসল্লি:
ইজতেমার প্যান্ডেলের উত্তর-পশ্চিমে তাশকিলের কামরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন খিত্তা থেকে বিভিন্ন মেয়াদে চিল্লায় অংশগ্রহণেচ্ছু মুসল্লিদের এ কামরায় আনা হচ্ছে এবং তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। পরে কাকরাইলের মসজিদের তাবলিগি মুরব্বিদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলাকা ভাগ করে তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাবলিগি কাজে পাঠনো হবে।
মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণ:
ইজতেমায় নারীদের অংশ নেওয়ার বিধান না থাকলেও ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নারী ইজতেমা ময়দানের আশপাশের সড়ক, মার্কেট ও বাসা-বাড়ির ছাদে অবস্থান নেন। মাঝেমধ্যে বেপর্দা নারীর কারণে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কজুড়ে বাজার:
রবিবার ভোর থেকে টঙ্গীর প্রায় সব রাস্তা পরিণত হয় বাজারে। এমন কিছু নেই, যা পাওয়া যায়নি এসব বাজারে। ইজতেমা ফেরত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দোকানিরা উঁচু গলায় চিৎকার করতে থাকেন ‘হাফ রেট-হাফরেট’ বলে। কম্বল, সোয়েটার, কোট-টাই, শাড়ি, লুঙ্গি, মাছ-মাংস, ডিম, সবজি, গুড়-মুড়ি, আপেল-কমলা থেকে শুরু করে চিনা মাটির তৈজসপত্র, হাঁড়ি-পাতিল, মোবাইল ফোন পর্যন্ত সব কিছুই বিক্রি হয়েছে। বাজারে সব কিছুর দাম কম- এ খবরে মহিলাদের দল বেঁধে ছুটে আসতে দেখা গেছে।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সন্তোষ প্রকাশ:
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি প্রকৌশলী মাহফুজুল হান্নান জানান, আলহামদুলিল্লাহ, কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এবারের এক পক্ষের ইজতেমা সমাপ্ত হয়েছে। ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মুসল্লিদের আসতে এবং ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতি ইজতেমা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করছি।