ইনিংস জয়ের পথ গড়ে তৃতীয় দিন শেষ বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক ::

সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশের লিড ৩০১ রানের। জবাব দিতে নেমে ৫ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে আয়ারল্যান্ড। এখনও তারা পিছিয়ে ২১৫ রানে। অর্থাৎ সফরকারীরা অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে বাংলাদেশ এই টেস্টে ইনিংস জয়ের পথেই আছে।

 

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে আইরিশরা। চাদ কারমাইকেলকে (৫) বোল্ড করেন নাহিদ রানা। পল স্টার্লিং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন। তার ৪৩ রানের ইনিংসটি কাটা পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর করা রানআউটে।

 

 

এরপর হ্যারি টেক্টরকে (১৮) এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল ইসলাম। হাসান মুরাদের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে সাদমান ইসলামের দুর্দান্ত ক্যাচ হন কুর্তিস ক্যাম্ফার (৫)। ঝাঁপিয়ে পড়ে বাজপাখির মতো বলটি তালুবন্দি করেন সাদমান।

 

হাসান মুরাদের দ্বিতীয় শিকার হন লরকান টাকার (৯)। বল পায়ে লাগলে আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। দেখা যায় বল আঘাত করতো লেগ স্টাম্পে। সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারায় আইরিশরা।

 

 

তৃতীয় দিন চা-বিরতির পর মাত্র ৩ ওভার ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে বোর্ডে যোগ হয় ১২ রান, হারায় ১ উইকেট। ১৬ রান করে হাসান মুরাদ ফিরলে ফাইফার পূর্ণ করেন ম্যাথু হাম্প্রেস। ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করলে লিড দাঁড়ায় ৩০১ রান।

 

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে আরও ২৪৯ রান যুক্ত করে ইনিংস ঘোষণা করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

 

 

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭১ রান করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তৃতীয় দিন মাত্র ২ রান যোগ করেই ফেরেন সাজঘরে। একইভাবে আগেরদিনের ৮০ রান নিয়ে মাঠে নামা মুমিনুল হক ২ রান যোগ করে ৮২ করেই আউট হন। ৩৪৬ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

 

৯৯তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক করেছেন মাত্র ২৩ রান। ওয়ানডে মেজাজে খেলে ৬৬ বলে ৬০ রান করা লিটন দাসও আউট হন বড় শট খেলে। দারুণ ক্যাচ নেন টেক্টর। মুমিনুল, মুশফিক ও লিটন সবাইকে সাজঘরের পথ দেখান ফাইফার পূর্ণ করা হাম্প্রেস।

 

৫২৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি। তবে ১০০ রান করেই থামেন ম্যাকব্রাইনের বলে।

 

 

দলীয় ৫৪৫ রানে শান্তর বিদায়ের পর ৫৬১ রানে ১৭ করে আউট হন মিরাজও হাম্প্রেসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তার বলেই। চা-বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা ২৮৯ রান লিড নিয়ে। দলের বোর্ডে তখন রান ৭ উইকেটে ৫৭৫।

 

বিরতির পর মুরাদকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার পূর্ণ করেন হাম্প্রেস। বোর্ডে আর ১২ রান তথা ৩০১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে ৮০ রান করে আউট হয়েছিলেন সাদমান ইসলাম।

 

আইরিশদের হয় হাম্প্রেসের ৫ উইকেট ছাড়া, ব্যারি ম্যাকার্থি নেন ২ উইকেট। একটি উইকেট পেয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।