নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা এবং গণভোটের সময় নিয়ে কড়া মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিজেই নির্বাচনের পরিবেশ বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালি শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক ও মানুষেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে একটা নতুন, সমৃদ্ধ রূপে উন্নীত করেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং বেসরকারিখাতে বিনিয়োগের সূচনা করেছিলেন। তিনি নতুন এক বাংলাদেশের সূচনা করেছিলেন, এর ভিত্তি ধরে দেশ আজও এগিয়ে চলছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি জানাচ্ছে, তাদের সেই চাপ সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না। গণভোট হলে তা নির্বাচনের দিনই হতে হবে, কারণ দুটো নির্বাচন করতে গেলে প্রচুর টাকা খরচ হবে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল হতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই হতে হবে। অন্যথায় দেশের মানুষ এই অবস্থান মেনে নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ সাত মাস ধরে আলোচনা শেষে ঐকমত্যে পৌঁছানো বিষয়গুলো থেকে হঠাৎ সরে আসা হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর হলেও, সম্প্রতি উপদেষ্টাপরিষদ ও প্রধান উপদেষ্টা যে নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন, সেখানে পূর্বেকার ঐকমত্যের সিদ্ধান্তগুলো, বিশেষ করে আপত্তিগুলো (নোট অব ডিসেন্ট) উপেক্ষা করা হয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণামূলক কাজ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যাকে বিএনপি সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে, তারাই এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে যাতে নির্বাচন ব্যবস্থা বানচাল হয়। যারা নির্বাচনের আগে গণভোটের চাপ দিচ্ছে, তারাও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
মির্জা ফখরুল যুবক ও নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, মারা গেছেন, তাদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এই নির্বাচনে অংশ নেবো ইনশাআল্লাহ। এই নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ গড়বো।







