ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে কমিশন এ তথ্য জানায়।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন পাওয়া সংস্থাগুলো হলো:
পাথওয়ে, পল্লীশ্রী, রিসডা-বাংলাদেশ, রশ্মি হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (আরএইচডিও), ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (আইসিডিএস), বাকেরগঞ্জ ফোরাম, একটিভ এইড ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন, সাথী, বকুলতলী মহিলা সংসদ (বিএমএস), অ্যাসোসিয়েশন অব মুসলিম ওয়েলফেয়ার এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ (এএমডব্লিউএবি), হোপ, অধিকার, আরপিও ফাউন্ডেশন, অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল এডভান্সমেন্ট (ঊষা), সমাজ উন্নয়ন পল্লী সংস্থা (এসডিআরএস), হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস), সংগতি সমাজ কল্যাণ সংস্থা, এডাব (এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ), লাইট হাউজ, রূপান্তর, সোসাইটি ফর ব্রাইট সোস্যাল সার্ভিসেস, আবদুল মোমেন খান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র ( জিইউকে), চাঁদ মানব উন্নয়ন সংস্থা, ব্যুরো অফ সোসাল ওয়াচ, অন্তরঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থা (এএসকেএস), প্রফেশনাল রিসার্স এডভোকেসি ট্রেনিং এ্যাকশন ইয়ার্ড (প্রত্যয়), মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (মওসুস), বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ইকোলোজিকাল রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (বিএসইআরআই), আশ্রয় ফাউন্ডেশন ও কর্ম উন্নয়ন কেন্দ্র (ডব্লিউডিসি)।
এছাড়াও নিবন্ধন পেয়েছে- আলোকিত সমাজ কল্যাণ সংস্থা, বিচরণ কল্যাণ সংস্থা, ইমপ্যাক্ট ইনিশিয়েটিভ, অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি), সেবা ফাউন্ডেশন, রুরাল এডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ (র্যাক-বাংলাদেশ), ডেমোক্রেসিওয়াচ, প্রত্যয় সোস্যাল ফাউন্ডেশন, ভলান্টারী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (ভিআরডিএস), ইউআরপিএসএ (রুরাল অ্যান্ড আরবান পুওর্স পার্টনার ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট), অ্যাসোসিয়েশন ফর সোসিও ইকোনোমিক অ্যাডভান্সমেন্ট (এসিয়া), চারু ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (সিডিএ), স্কোপ, পার্টিসিপেটরি এডভান্সমেন্ট সোস্যাল সার্ভিস (পাস), কমিউনিটি এ্যাসিস্ট্যান্স ফর রুরাল ডেভেলাপমেন্ট (কার্ড), সেন্টার ফর রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরডি), ফ্যাসিলিটিজ ফর এগ্রিকালচার রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ফেয়ার), অগ্রগতি সেবা সংস্থা (আসেস), দিনাজপুর পল্লী উন্নয়ন প্রচেষ্টা (ডিপিইউপি), সমাহার-মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিচার্স এ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশন, বিয়ান মনি সোসাইটি (বিএমএস), গরীব উন্নয়ন সংস্থা (জিইউএস), সচেতন নাগরিক সোসাইটি, দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থা (ডিএমইউএস), নজরুল স্মৃতি সংসদ (এনএসএস), ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থা, মানব সহায়ক কেন্দ্র (এমএসকে), রুরাল ডিশন (আরডি), গ্রামীণ ইকোনোমিক এন্ড সোশাল এডভান্সমেন্ট (জিসা), মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, ডাক্তারবাড়ি সোস্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (ডিএডব্লিউএফ), ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভ ফর সোস্যিও ইকনোমিক এ্যাকটিভিটি (ইযিয়া), মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন এবং দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা।
এবার নিবন্ধনের জন্য দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নির্ধারিত সময়সীমা (১০ আগস্ট) মধ্যে ৩১৮টি আবেদন জমা পড়ে। নির্ধারিত সময়ের পর আরও ১৩টি আবেদন আসে। এ সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কমিটি এসব আবেদন পর্যালোচনা করে ৭৩টি সংস্থাকে নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করে।
এই ৭৩ সংস্থার বিরুদ্ধে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। শেষ পর্যন্ত সাতটি সংস্থা বাদ পড়ে, চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৬৬টি।
এদিকে ১৬টি সংস্থার বিরুদ্ধে আবারও দাবি-আপত্তি চেয়েছে ইসি। এদের মধ্য থেকে কোনো সংস্থা নিবন্ধন পেলে মোট সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দাবি-আপত্তি চাওয়া হয়েছে এমন সংস্থাগুলো হলো- এসো জাতি গড়ি (এজাগ), নেত্রকোনা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এনএসডিও), ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল, পূওর- ডরপ, হেল্প সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (কেএইচআরডিএস), দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থা (ডিএমইউএস), রুরাল ইকোনোমিক সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গেনাইজেশন (রেসডো), রাসটিক (রুরাল আনফরচুনেটস সেফটি ট্যালিসম্যান ইলুমিনেশন কটেজ), বাঁচতে শেখা, পিপলস এসোসিয়েশন ফর সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (পাশা), ইন্টারন্যাশনাল আসফ লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশন, মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক), বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্যা চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান), যুব একাডেমি, এসডিএস (শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি) ও উইমেন এন্টারপ্রিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
এর আগে ২০২৩ সালে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৯৬টি সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দিয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে পুরনো নিবন্ধন বাতিল করে পুনরায় আবেদন আহ্বান করে।
এক-এগারো সরকারের সময় ড. এ.টি.এম. শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রথমবারের মতো ২০০৮ সালে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন চালু করে। তখন ১৩৮টি দেশীয় সংস্থাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
নীতিমালা অনুযায়ী, পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর ভোট পর্যবেক্ষণের পর প্রতিবেদন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিতে চায় নির্বাচন কমিশন। এজন্য সব প্রস্তুতি গুছিয়ে নিচ্ছে ইসি- যার অংশ হিসেবে চলছে পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রমও।







