স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিনের জনবল ঘাটতি ও কাঠামোগত জটিলতা কাটিয়ে উঠতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে ৩ হাজার ৫০০ নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তিনি বলেন, ৩৫০০ চিকিৎসকের মধ্যে ৩১০০ জনকে প্রাইমারি হেলথকেয়ারে পাঠানো হবে। এতে চিকিৎসকের ঘাটতি অনেকটা কমে আসবে।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, চিকিৎসক নিয়োগ ও পদোন্নতিতে এবার অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাত হাজার চিকিৎসককে পদের বাইরে থেকেও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। আরও ৪০০-৫০০ চিকিৎসকের পদোন্নতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। ফলে আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে চিকিৎসকদের পদসংক্রান্ত সংকট পুরোপুরি নিরসন হবে।
তিনি আরও জানান, উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের সব হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ পূরণ হবে। এমনকি অনেক অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপককে জেলা হাসপাতালে পোস্টিং দেওয়া হবে।
মানবসম্পদ উন্নয়নই মূল চ্যালেঞ্জ
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শক্তিশালী নীতি, পর্যাপ্ত বাজেট এবং দক্ষ মানবসম্পদ- এই তিনটি দিককে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নানা শূন্যতা থাকলেও কাজের আন্তরিকতা বাড়লে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
নীতি, দক্ষতা ও সংস্কারে জোর
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের আরও অনেক কাজ বাকি। স্বাস্থ্যখাতকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব (এইচআর) ডা. মো. শেখ সাদেক। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ, নিপসম পরিচালক অধ্যাপক ডা. জিয়াউল ইসলাম এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সহযোগী ডা. শাহানা সুলতানা প্রমুখ।







