ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিট ম্যাক্রোঁকে নিয়ে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। অনলাইনে মিথ্যা ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য ছড়িয়ে মানহানির অভিযোগে ১০ জন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
ব্রিজিটের লিঙ্গপরিচয়, যৌনতা এবং প্রেসিডেন্ট দম্পতির বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক ও ভ্রান্ত তথ্য প্রচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
আদালতে হাজির হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন এক নির্বাচিত কর্মকর্তা, এক আর্ট গ্যালারির মালিক এবং একজন শিক্ষক। এর আগে গত বছর সাংবাদিক নাতাশা রে এবং ইন্টারনেট ফর্চুন-টেলার আম্যান্ডিন রয়ে একই ধরনের মিথ্যা দাবির কারণে মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, যদিও আপিল আদালত পরবর্তীতে তাদের খালাস দেয়।
ব্রিজিট ও ইমানুয়েল ম্যাক্রো ২০০৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন ম্যাক্রোর বয়স ছিল ২৯ এবং ব্রিজিটের ৫৪ বছর। তবে ২০১৭ সালে ম্যাক্রো প্রথমবারের মতো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এই দম্পতি আন্তর্জাতিক আলোচনায় আসেন। তখন থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব ছড়াতে শুরু হয়; যেখানে দাবি করা হয়, ব্রিজিট নাকি ট্রান্সজেন্ডার।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাইট-উইং ইনফ্লুয়েন্সার ক্যান্ডেস ওয়েন্স এই দাবি নতুন করে ছড়িয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন, তার পরিবারের সম্মান রক্ষায় ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ম্যাক্রো দম্পতির আইনজীবী টম ক্লেয়ার জানান, এই মিথ্যা ও কুৎসিত দাবি ব্রিজিট ম্যাক্রোর জন্য ভীষণ মানসিক চাপের কারণ হয়েছে। এটি শুধু তার ব্যক্তিগত মর্যাদাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, বরং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের জন্যও এটি একটি বড় সমস্যা তৈরি করেছে।







