নাটকীয়তা ইসরায়েলের পার্লামেন্টে, ট্রাম্পের সামনেই ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি’র দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::

 

নাটকীয় ঘটনার নজির দেখা গেল ইসরায়েলের পার্লামেন্টে। সেখানে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি’র দাবি তুলেছেন এক সংসদ সদস্য (এমপি)।

 

 

তাও আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনেই উঠলো এমন দাবি।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরায়েল সফররত ট্রাম্প দেশটির পার্লামেন্টে ‘নেসেট’-এ ভাষণ দিতে গেলে কিছু এমপি হট্টগোল করেন।

 

এতে থেমে যায় ট্রাম্পের ভাষণ। যদিও শুরুতে তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে ভাষণ শুরু করেন ট্রাম্প।

হট্টগোলের সময় এক এমপির হাতে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ লেখা একটি কাগজ দেখা যায়।

 

আল জাজিরার খবর অনুসারে, ওই এমপির নাম আইমান ওদেহ।

 

ঘটনাটির কিছুক্ষণের মধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে পার্লামেন্ট কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যান। আইমানের সঙ্গে ওফার কাসিফ নামে আরেক এমপিকেও বের করে নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।

হট্টগোলের আগে আইমান ওদেহ তার এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, ‘অধিবেশনে যে পরিমাণ ভণ্ডামি চলছে, তা অসহনীয়। নজিরবিহীন এক স্তূতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নেতানিয়াহুকে ভাসানো হলেও এটি তাকে এবং তার সরকারকে গাজায় সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায় থেকে কিংবা লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি ও হাজার হাজার ইসরায়েলির রক্তের দায় থেকে মুক্তি দেয় না। ’

 

‘কিন্তু আমি এখানে আছি শুধু যুদ্ধবিরতি ও সামগ্রিক চুক্তির কারণে। কেবল দখলদারিত্বের অবসান এবং ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়াই সবার জন্য ন্যায়, শান্তি ও নিরাপত্তা বয়ে আনবে। ’

 

২০২৪ সালের নভেম্বরে আইমান ওদেহ নেসেটে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘সিরিয়াল কিলার অব পিস’ (শান্তি বিনাশকারী) বলে অভিযুক্ত করেন।

 

১৯৭৫ সালে হাইফায় এক আরব মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া রাজনীতিক আইমান ওদেহ নিজেকে ‘নাস্তিক’ হিসেবে পরিচয় দেন।