এ কারণে নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগ মুহূর্তে লক্ষ্মীপুরের হাট বাজারগুলোতে ইলিশ ক্রয়-বিক্রির ধুম পড়ে যায়।
কিন্তু অন্যান্য দিনের তুলনায় মাছের দাম কিছুটা বেশি দেখা যায়।
যদিও চলতি মৌসুমে মেঘনায় ইলিশের অকাল থাকায় বাজারে অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম ছিল অনেকটা আকাশচুম্বী।
ক্রেতারা বলছে, দাম বেশি হওয়ায় ইলিশ তাদের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে।
আর বিক্রেতারা বলছে, মাছের আমদানি কম থাকায় দাম বেশি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী ইলিশের হাটে গিয়ে ক্রেতাদের সমাগম দেখা যায়।
বিক্রেতারাও ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। গভীর রাত হলেও ক্রেতা সমাগম বেশি থাকায় দাম ছিল অন্য দিনের থেকেও কিছুটা বেশি।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের ইলিশের উপস্থিতি একবারে কম ছিল। তবে জাটকা সাইজের ইলিশের উপস্থিতি ছিল বেশ। এক কেজি ওজনের প্রতিকেজি ইলিশ ২৫০০ থেকে ২৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া আড়াইশ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি হাজার টাকার ওপরে, আর ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছ কিনতে আসা আবদুল্লা আল হাদী বলেন, গভীর রাতে হাটে এসে দেখি মাছের দাম বেশি। জাটকা সাইজের ইলিশও কেনার সাধ্য নেই।
বিক্রেতা আরিফ হোসেন বলেন, ২২ দিনের অভিযানে নদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। তাই এ সময়ে বাজারে মাছের দেখা মিলবে না। শেষ রাত হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা বেড়েছে, তাই মাছের দাম কিছুটা বেশি। এছাড়া এবার নদীতে তেমন মাছ ধরা পড়েনি, ফলে মাছঘাটেও মাছের দাম বেশি ছিল।
জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩ অক্টোবর শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এ সময়টাতে মেঘনা নদীতে সকল প্রকার মাছ আহরণ, ইলিশ পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।







