বঙ্গোপসাগরের সাংগু নদীর মোহনায় মাছ ধরে ফেরার পথে আনোয়ারা উপজেলার গহিরা গ্রামের একটি মাছ ধরার নৌকায় সশস্ত্র জলদস্যুদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার রাত ৩ টার দিকে এই হামলায় জেলেদের মারধর করে সাগরে ফেলে দেয় এবং নৌকার মাছ,মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী জেলে শওকত হোসেন বলেন, সাংগু নদীর মোহনা থেকে পশ্চিম দিকে জাল বসানো ফাঁড়ে মাছ ধরার পর আমরা ৩/৪ মণ মাছ নিয়ে ঘাটের পথে ফিরছিলাম। হঠাৎ এক টেম্পু বোট আমাদের পিছু নেয় ও পাথর ছুঁড়তে থাকে। জীবন বাঁচাতে ইঞ্জিন বন্ধ করি। পরে তারা আমাদের নৌকায় উঠে লাঠি, দা দিয়ে চারজনকে মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়। আমাকে তাদের বোটে তুলে নির্দয়ভাবে মারধর করে। আমি কাকুতি-মিনতি করে কোনোরকমে ফিরে আসি। তারা মাছ, মোবাইলসহ সব কিছু নিয়ে যায়। জলদস্যুদের চিনি তাদের নেতা হচ্ছে প্রেমাশিয়া গ্রামের মো. ফিরোজ, পিতা নূর নবী।
এই হামলার পর উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, বারবার এমন হামলার শিকার হলেও কার্যকর প্রতিরোধ বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সাগরে যাওয়া তাদের পেশার অনিবার্য অংশ হয়ে উঠেছে।
ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির রায়পুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান নাগু এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বাঁশখালী থানাধীন প্রেমাশিয়া গ্রামের এই জলদস্যুরা যে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে, তা নিছক ডাকাতি নয়, বরং হত্যার চেষ্টা। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা উপজেলার বার আউলিয়া ঘাঁট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় একটি জিডি নথিভুক্ত হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি এবং যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।







