স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নারায়ণগঞ্জের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বেশ পুরোনো।
এবার সারাদেশে ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ রয়েছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা সাতজন করে স্বেচ্ছাসেবক রাখবেন।
আমাদের আনসার থাকবে আটজন করে। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী থাকবে।
এর বাইরেও আমরা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক রাখছি।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি মন্দিরটি পরিদর্শন করেছি। এখানে এসে ভাইদের কাছ থেকে শুনলাম, কোনো সমস্যা নেই। নারায়ণগঞ্জে এ বছর পূজার জন্য প্রায় ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এর পবিত্রতাও রক্ষা করতে হবে। সব ধর্মের মানুষ যেন মিলেমিশে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। এটা আমি বলছি না, পূজা কমিটির নেতারাই বলছেন। সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূজা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, মণ্ডপ তৈরির শুরু থেকেই তারা ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। শুধু সরকারি বাহিনী নয়, নিজস্ব গার্ড ও স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্বে থাকবেন। ২৪ তারিখ থেকে আনসার সদস্য এবং মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও মাঠে নামবেন।







