১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আগামীকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপিত হবে।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসহ সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা এএফএম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
শনিবার সকাল থেকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীর প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা এবং কালিমা তাইয়্যেবা লেখা ব্যানার ও পতাকা দিয়ে সাজানো হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কিরাত ও নাত প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক আসর, আরবি খুতবা রচনা প্রতিযোগিতা, সেমিনার আয়োজন এবং বিশেষ স্মারক প্রকাশ। এছাড়া ১২ রবিউল আউয়াল থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ প্রাঙ্গণে দুই সপ্তাহব্যাপী ইসলামী বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে, আর পত্রপত্রিকা প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারের বর্ণাঢ্য জাতীয় কর্মসূচি
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় সংগঠন, ওয়াকফ প্রশাসক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং হজ অফিসগুলো আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, নাত পাঠ এবং কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। এসব কর্মসূচিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা এবং ইসলামের শান্তি, অগ্রগতি, সহনশীলতা, ভ্রাতৃত্ব, মানবাধিকার ও নারী মর্যাদার বার্তা তুলে ধরা হবে।
শিশুদের জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমি নাত পাঠ, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
এ উপলক্ষে দেশের সব সামরিক ও বেসামরিক হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা, শিশু নিবাস ও বৃদ্ধাশ্রমে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিনটি পালন করবে।







