মিশরে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে কিশোর শ্রমিকসহ নিহত ১৯ 

আন্তজার্তিক ডেস্ক ::

 

মিশরে শ্রমিকবাহী মিনিবাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই কিশোর বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

 

 

শুক্রবার (২৭ জুন) ভোরে রাজধানী কায়রোর উত্তরে মেনুফিয়া প্রদেশের নীল ডেল্টা প্রদেশের আশমাউন শহরের একটি আঞ্চলিক সড়কে শ্রমিকরা যখন কাজে যাচ্ছিলেন, তখন এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আখবার আল-ইয়ুম জানিয়েছে, কাফর আল-সানাবসা থেকে শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকটি মিনিবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

 

 

দেশটির সংবাদপত্র দৈনিক আল-আহরামে প্রকাশিত নাম এবং বয়সের তালিকা অনুসারে, বেশিরভাগ শ্রমিকই কিশোর ছিল, যাদের মধ্যে দুজনের বয়স মাত্র ১৪ বছর। মিশরীয় গণমাধ্যম দুর্ঘটনার শিকারদের ‘তাদের প্রতিদিনের রুটির জন্য শহীদ’ বলে অভিহিত করেছে।

 

মিশরের নীলনদের বদ্বীপ অঞ্চলের মেনুফিয়া প্রদেশে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হয়েছেন আরও তিনজন।

 

দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, মিশরে প্রায় ১৩ লাখ শিশু কোনো না কোনোভাবে শ্রমের কাজে নিয়োজিত। এসব শিশু প্রায়ই কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

 

মিশরের শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানায়, শুক্রবারের দুর্ঘটনায় মাত্র তিনজন বেঁচে গেছে। আহত অবস্থায় তাদের জেনারেল আশমাউন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

 

মিশরের শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ জেবরান নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ মিশরীয় পাউন্ড (প্রায় ৪ হাজার ডলার) পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার মিশরীয় পাউন্ড (৪০০ ডলার) দেওয়া হবে।

 

মেনুফিয়া প্রাদেশিক গভর্নর ইব্রাহিম আবু লেইমন বলেছেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করা হবে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

 

আবু লেইমন দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়কে আঞ্চলিক সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত এপ্রিলে একই সড়কে দুটি গাড়ির সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

 

মিশরে প্রতি বছর ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

 

আল-আহরামের মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে, কায়রো-আলেকজান্দ্রিয়া মরুভূমির রাস্তায় একটি বাস এবং বেশ কয়েকটি গাড়ির মধ্যে ‘ভয়াবহ সংঘর্ষে’ ৩৫ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ১৮ জন অগ্নিদগ্ধ হন।