‘বড় ভাইদের’ কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে চান মিরাজ

স্পোর্টস ডেস্ক ::

 

‘মাশরাফি ভাই বলিছেন, তার কথা শুনে ভালো খেলেছি। তাই ম্যাচসেরাও হয়েছি। তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই যেভাবে বলিছেন সেভাবে খেলেই ভালো পারফর্ম করেছি। সফল হয়েছি’- ক্যারিয়ারের প্রথম কয়েক বছর মেহেদী হাসান মিরাজের মুখে এমন কথা শোনা যেত প্রায়ই।

 

বড়দের প্রতি নানাভাবে শ্রদ্ধা পোষণ করতেন মিরাজ। মাঠে ভালো খেলার পিছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সব সময় বড়দের কৃতিত্ব দিতেন। তাদের পরামর্শ ও কৌশলকেই কার্যকর বলে মন্তব্য করতেন।

 

সিনিয়রদের অধীনে খেলে নিয়মিতই নতুন নুতন অভিজ্ঞতা রপ্ত করেছেন মিরাজ। দিনদিন নিজেও সিনিয়র হয়ে যাচ্ছেন। এখন হয়ে গেলেন নেতা, বাংলাদেশ দলের পুরোদস্তুর ওয়ানডে অধিনায়ক।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার মিরাজকে ওয়ানডে অধিনায়ক ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রথমবারের মতো ৫০ ওভারের ফরম্যাটে নেতৃত্ব পান তিনি।

 

এখন মিরাজ কী বলবেন? বড়দের কাছ থেকে অনেক বুদ্ধি-পরামর্শ পেয়ে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা মিরাজ ওয়ানডে ক্যাপ্টেন হিসেবে তার জুনিয়র প্লেয়ারদের কীভাবে অনুপ্রাণিত করবেন? কাকে কীভাবে উজ্জীবিত করবেন?

 

ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই সংবাদ সম্মেলনে এসে সেসব প্রশ্নের মুখোমুখি হন মিরাজ।

 

শেরে বাংলায় আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে শুরুতেই এক সিনিয়র সাংবাদিকের প্রশ্ন, অতীতে দেখা গেছে বিভিন্ন সময় আপনি আপনার অগ্রজপ্রতীম; বিশেষ করে অধিনায়কদের অনেক প্রশংসা করতেন। তাদের কাছ থেকে নানা ভাবে অনুপ্রাণিত হতেন, সেসব কথা বলতেন। এখন আপনি অধিনায়ক। আপনি যা বলবেন, সবাই শুনবে। এ ব্যাপারটা কীভাবে দেখছেন?

 

মিরাজের জবাব, ‘হ্যাঁ, মাশরাফি ভাইয়ের অধীনে আমার অভিষেক হয়েছিল। আলহামদুল্লিাহ, আমি অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছি। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমার জন্য একটা ভালো লাগার বিষয়। এখন কাজে লাগাতে হবে। এখন আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে। আমরা ৮-৯ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলেছি। এখন আমাদের পারফর্ম করার সময় এসেছে। যারা জুনিয়র আছেন তাদেরও এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়।’

 

মিরাজ মনে করেন, ক্যারিয়ারে বড়দের সাহচর্যে থেকে অনেক কিছু শিখেছেন, জেনেছেন ও বুঝেছেন। এখন সেসব অভিজ্ঞতা ছোটদের মাঝে বিতরণ করতে চান তিনি।

 

তাই মিরাজের মুখে এমন কথা, ‘আমার ক্যারিয়ার শুরুর সময় বড় ভাইদের কাছ থেকে যে দিকনির্দেশনা, সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছি; আমিও চেষ্টা করবো ড্রেসিং রুমকে এমন চাঙ্গা রাখতে। যাতে জুনিয়র ও অন্যান্য ক্রিকেটাররা কোনোরকম শূন্যতা অনুভব না করে। আমি একা, আমার পাশে কেউ নেই, এটা যাতে অনুভব না করে। সবাইকে বুঝিয়ে দিতে চাই, ভেতরে একটা অনুভূমি জাগ্রত করতে চাই। এখানে আমরা সবাই একটা পরিবার।’