মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ২০ জনের মৃত্যু, আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::

 

মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

 

 

মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন এবং বিশ্ববাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন।

 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে শুক্রবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির মান্দালয় শহরে একটি মসজিদ ধসে পড়েছে এবং একটি শহরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, সেখানে আগুন লেগেছে।

 

দুজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমরা নামাজ পড়ছিলাম।

 

এ সময় মসজিদ ধসে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

সঠিক সংখ্যা জানাতে না পারলেও ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা অনেক বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

 

 

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতালে অনেক আহত চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

 

অন্যদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতের পর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাংককে মেট্রো ও রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।

 

শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার মধ্যে থাইল্যান্ড, চীন, ভারত, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশের কিছু অংশে কম্পন ও আফটারশক অনুভূত হয়।

 

শক্তিশালী ভূমিকম্পটি বেশি অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে। কম্পনের প্রভাবে দেশটির রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি ৩০তলা ভবন ধসে পড়েছে। এএফপি জানিয়েছে, এ ঘটনায় ওই ভবনের ৪৩ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

 

ভূমিকম্পে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ভূমিকম্পের পর ‘জরুরি বৈঠক’ করতে দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ফুকেটে তার নির্ধারিত সরকারি সফর স্থগিত করেছেন তিনি। ব্যাংককে মেট্রো ও রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

 

চীনের ইউনান প্রদেশেও শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক কেন্দ্র জানিয়েছে যে, এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯। ভারতের কলকাতা এবং মণিপুরের কিছু অংশ থেকেও মৃদু ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। যেখানে ৪ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পের পাশাপাশি ঢাকা এবং চট্টগ্রামও রেকর্ড করা হয়েছে। তবে চীনসহ এসব দেশের কোথাও থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

 

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের হিসাবে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের ১৭ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে, মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।