পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, কেউ দাবি আদায়ের নামে সড়ক আটকাবেন না। সামনে ঈদ।
সড়ক অবরোধ করে জনগণের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি বয়ে আনা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ ধরনের কার্যক্রম যারা চালাবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেব।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) গাজীপুরে শিল্প পুলিশ-২–এর কার্যালয়ে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি জনগণের উদ্দেশে বলেন, আপনারা পুলিশকে সহায়তা করুন, পুলিশের কাজের পরিবেশ তৈরি করুন।
পুলিশকে প্রতিপক্ষ ভাববেন না, পুলিশের প্রতি আক্রমণ করবেন না। আমাদের দেশের সেবা করার সুযোগ দিন।
সরকারঘোষিত ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও মার্চ মাসের ১৫ দিনের আংশিক বেতন পরিশোধ করা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মালিকপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান আইজিপি।
তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, আমরা এই ন্যায়সঙ্গত পাওনা আদায়ের জন্য সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আপনাদের পাশে থাকব। আপনারা কোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না। ভাঙচুর করে নিজেদের কর্মস্থলের ক্ষতি হতে দেবেন না।
আইজিপি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং পেশাগত দায়িত্ববোধের জন্য গর্ব অনুভব হয়।
তিনি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ নিশ্চিতের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ সময় সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিএমইএ প্রশাসক, অ্যাডিশনাল আইজিপি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, পুলিশ কমিশনার, জিএমপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিশেষ কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি মো. ছিবগাত উল্লাহ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক, ডিআইজি মহা. আশরাফুজ্জামান বিপিএম।
সভায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কল্যাণ সভায় পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করেন। আইজিপি গভীর মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন এবং ধাপে ধাপে সেগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।







