- মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামের জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেন সোমালি জলদস্যুরা।
সোমালি জলদস্যুরা কবির গ্রুপের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল বলেন, ‘জাহাজে থাকা সকল নাবিকের পরিবারের সাথে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টার কথা তাদের জানিয়েছি। আমরা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্দি নাবিকদের মুক্ত করার।’
ভারত মহাসাগরে মঙ্গলবার বাংলাদেশি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়া সোমালিয়ার জলদস্যুরা ‘এমভি আবদুল্লাহ’র মালিক কবির গ্রুপের সঙ্গে এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি বলে বুধবার জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘সকল নাবিক ও ক্রু সুস্থ আছে। তাদের সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা রয়েছে। জলদস্যুরা নাবিকদের কোনো ক্ষতি করেনি।
‘তারা সুস্থ আছে। জাহাজে নাবিকদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছিল কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পথে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেন সোমালি জলদস্যুরা।
জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা আছে। এতে থাকা ২৩ ক্রুর সবাই বাংলাদেশি।
সোমালি জলদস্যুরা কবির গ্রুপের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল বলেন, ‘জাহাজে থাকা সকল নাবিকের পরিবারের সাথে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টার কথা তাদের জানিয়েছি।’
‘আমরা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্দি নাবিকদের মুক্ত করার।’
জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের ক্রুদের মধ্যে আছেন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান, দ্বিতীয় কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, তৃতীয় কর্মকর্তা মো. তারেকুল ইসলাম, চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমদ, এবি মো. আসিফুর রহমান, এবি সাজ্জাদ হোসেন, ওএস আইনুল হক, অয়েলার মোহাম্মদ শামসউদ্দিন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম ও জিএস মো. নূর উদ্দিন।
ক্রুদের পরিবারে উৎকণ্ঠা:
এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি হওয়া ক্রুদের পরিবারের সদস্যরা আছেন চরম উৎকণ্ঠায়।
জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্রুদের পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান চট্টগ্রামে মালিক প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান কার্যালয়ে। ওই সময় নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে প্রচেষ্টার কথা পরিবারের সদস্যদের জানান কবির গ্রুপের কর্মকর্তারা।
অডিও বার্তা:
জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের কাছে অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বার্তায় জাহাজে খাবারের পরিমাণ কম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।