রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে মোট ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি নাসিরুল ইসলামের বড় মেয়ে লামিসা ইসলাম।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় আমাদের সহকর্মী এডিশনাল ডিআইজি নাসিরুল ইসলামের বড় মেয়ে লামিসা ইসলাম মারা গেছেন।’
লামিসা ইসলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২২তম ব্যাচের মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালে স্ত্রী হারিয়েছেন নাসিরল ইসলাম। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে চলে গেল।
স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুই কন্যা সন্তানের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। সন্তানদের নিয়ে থাকতেন রমনার পুলিশ কমপ্লেক্সে। কন্যাদের মানুষের মতো মানুষ করতে মায়ের ভূমিকা পালন করতেন বাবা।
লামিশাকে হারিয়ে বাবা পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) নাসিরুল ইসলাম হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ। তার সহকর্মীরাও শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন।
এর আগে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের সেই ভবনে আগুনের খবর পাওয়া যায়। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ টি ইউনিট।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ৪৬ জন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের দোকান ছিল। আমাদের দেখা মতে ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। যেগুলোতে আমরা গ্যাস সিলিন্ডার দেখেছি। যে কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়েছে এবং দাউদাউ করে জ্বলেছে।’