রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে রোববার বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট পড়েছে। দেশে একটা ফ্যাসিস্ট রেজিমের শাসন চলছে। ক্ষমতাসীনরা ৭ জানুয়ারি একটি নির্বাচন করেছে যেটা কোনো নির্বাচন হয়নি।’
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে দেয়া ইফতার মাহফিলে তিনি এই আহ্বান জানান।
রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এই ইফতার মাহফিলে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন অংশ নেন।
এছাড়াও ইফতার অনুষ্ঠানে চীন, ভারত, পাকিস্তান, নরওয়ে, সুইডেন, নেপাল, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইফতারে কূটনীতিকদের স্বাগত জানান এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এ সময় ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। ফিলিস্তিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ‘টু স্টেট পলিসি’ বাস্তবায়নেরও দাবি জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট পড়েছে। দেশে একটা ফ্যাসিস্ট রেজিমের শাসন চলছে। তারা ৭ জানুয়ারি একটি নির্বাচন করেছে যেটা কোনো নির্বাচন হয়নি।’
নির্বাচন সামনে রেখে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ হাজার হাজার নেতা কর্মী গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা দায়েরের কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, দেশের জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এই ফ্যাসিস্ট রেজিম সরকারের পদত্য্যাগ এবং নতুন নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করছে। বর্তমান সংকট সমাধানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, মীর নাসির হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন ফজলে এলাহী আকবর, আবদুল কাইয়ুম, ফরহাদ হালিম ডোনার, সুজা উদ্দিন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কায়সার কামাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, মীর হেলাল, মওদুদ হোসেন আলমগীর, শাহ নেসারুল হক, ইশরাক হোসেন ও আতিকুর রহমান রুমন।
এছাড়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক শহীদুজ্জামান, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক ব্যাংকার বখতিয়ার নাসের বখতিয়ার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব তাজুল ইসলাম, সাবেক এমপি গোলাম মওলা রনি ইফতারে অংশ নেন। ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে কূটনীতিকরা নৈশভোজেও অংশ নেন।