হামাসের দুই শর্তে ঝুলছে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, কী করবে ইসরায়েল?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। কায়রোতে চলমান এই আলোচনায় যোগ দিয়েছে হামাসসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশ। রবিবার (০৩ মার্চ) এই বৈঠকের আগে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ইসরায়েল দাবি মেনে নিলে আগামী ২৪ অথবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি হবে।

তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ হামাসের দুটি শর্তে এটি আটকে আছে। হামাসের প্রথম শর্ত হলো ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে কোনো ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে না। দ্বিতীয় শর্ত হলো, গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর গ্যারান্টি দিতে হবে।

হামাসের এক প্রতিনিধি সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন না।

হামাস কেন অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় তা বিশ্লেষণ করেছেন দোহা ইনস্টিটিউট অব গ্যাজুয়েট স্টাডিজের বিশ্লেষক মোহাম্মদ এলমাসরি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হওয়া ইসরায়েলের জন্য সহজ। কিন্তু হামাসের জন্য খুবই কঠিন।

তিনি বলেন, হামাসকে একাধিক বিষয় বিবেচনা করতে হচ্ছে। একদিকে গাজার বাসিন্দারা বিরতির জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। তাদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। অপরদিকে ইসরায়েলের শর্তে রাজি হওয়া মানে গাজাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া। তারা গাজাকে বসবাসের অনুপযোগী করে দিতে চায় এবং ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে তাড়িয়ে দিতে চায়।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি। এছাড়া যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি খাবারের অভাবে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত