ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ান বলেছেন, ইসরায়েলে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এবং আত্মরক্ষার অংশ হিসেবে হামলা চালানো হবে বলে ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছিল তেহরান।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে শনিবার রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রোববার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে ইরান বলেছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্রটিতে পাল্টা হামলা চালানো হলে ‘অনেক বড় জবাব’ দেয়া হবে।
অন্যদিকে ইরানের বদলার শিকার ইসরায়েল বলেছে, অভিযান এখনও শেষ হয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্যের চিরশত্রু দুই দেশের যুদ্ধের প্রকাশ্য হুমকি এবং এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা উদ্বেগ বাড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।
এমন বাস্তবতায় ওয়াশিংটন বলেছে, ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না আমেরিকা, তবে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সেনা ও ইসরায়েলকে রক্ষায় ইতস্তত বোধ করবে না।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কমান্ডার নিহত হন। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে দেশটিতে পাল্টা হামলা চালায় ইরান।
ইসরায়েলের দিকে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের বেশির ভাগ ছোড়া হয় ইরানের অভ্যন্তর থেকে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জর্ডানের সহায়তায় এসব ড্রোনের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যার ফলে এগুলো সামান্য ক্ষতি করেছে ইহুদি রাষ্ট্রটির।
হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটিতে কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। হামলায় সাত বছর বয়সী এক ইসরায়েলি শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে। এর বাইরে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।