প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, শুধু ক্লাসে নয়, প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করেন। সোমবার বিকেলে ক্লাস চলাকালে দেশীয় পিস্তল ও ১০/১২টি ধারালো চাকু নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করেন ওই শিক্ষক। এরপর হঠাৎ ক্লাসের মধ্যেই অষ্টম ব্যাচের (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন তিনি।
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলাকালে গুলি চালিয়েছেন এক শিক্ষক। এ ঘটনায় শ্রেলিকক্ষে থাকা এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ করে কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তাদের অভিযোগ, ডা. রায়হান কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতাবলে ফরেনসিক বিভাগের ক্লাস নেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, শুধু ক্লাসে নয়, প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করেন। সোমবার বিকেলে ক্লাস চলাকালে দেশীয় পিস্তল ও ১০/১২টি ধারালো চাকু নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করেন ওই শিক্ষক। এরপর হঠাৎ ক্লাসের মধ্যেই অষ্টম ব্যাচের (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন তিনি।
তারা জানান, আর্তচিৎকার শুনে সবাই এগিয়ে আসার পর ডা. রায়হান শরিফকে তালাবন্ধ করে রাখা হয়। আর তমালকে দ্রুত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিচার দাবিতে আন্দোলন করছে মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে উপস্তিত রয়েছে।