সোমবার বিকেলে ৪টার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগরের সুগার মিলে এ আগুন লাগে।
কোনো স্থাপনায় আগুন লাগার পর তা নিয়ন্ত্রণে আসার অর্থ হচ্ছে, সেটি আর ছড়াচ্ছে না। এরপর স্থাপনার ভেতর-বাইরে তল্লাশি চালিয়ে কোথাও আগুন না পেলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পুরোপুরি নির্বাপনের ঘোষণা দেয়া হয়।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের গুদামে লাগা আগুন প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘তবে এখনও পুরোপুরি নির্বাপন হয়নি।’
কোনো স্থাপনায় আগুন লাগার পর তা নিয়ন্ত্রণে আসার অর্থ হচ্ছে, সেটি আর ছড়াচ্ছে না। এরপর স্থাপনার ভেতর-বাইরে তল্লাশি চালিয়ে কোথাও আগুন না পেলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পুরোপুরি নির্বাপনের ঘোষণা দেয়া হয়।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে মিলের ১ নম্বর গুদামে এ আগুন লাগে। ওই গুদামে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল বলে দাবি করা হয়।
আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশনের একাধিক ইউনিট সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, ‘এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের পঞ্চম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি স্টেশনের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে আছে। বাতাস থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে।’
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, ‘গোডাউনে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এক লাখ টন চিনির কাঁচামাল ছিল। এর পুরোটাই পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করছি।
‘মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এর কিছুই জানতে পারিনি। আগুন নির্বাপণে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তার চেষ্টা করছি।’
এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ফিটার মনির বলেন, ‘ওই গুদামে প্রায় এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো পুড়ে গেছে। কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরও কয়েক লাখ টন।’
সূত্র জানায়, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলসের দুটি প্লান্টে পরিশোধন করা হয়। এর মধ্যে প্লান্ট-১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন এবং প্লান্ট-২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড এবং ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।