- ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ দুই মুখ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীতীশ কুমার
- নীতীশের জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পথ হারানোর মুখে এ জোট
ভারতের লোকসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে কংগ্রেসের টানাপোড়েন চরমে। এর মধ্যেই রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে পদত্যাপ করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তবে বিকেলেই বিজেপির সমর্থন নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এ ঘটনায় বিজেপি বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোট বড় ধাক্কা খেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে নীতীশ যে আবার বিজেপির জোট ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সে (এনডিএ) ফিরতে পারেন, সেই জল্পনা ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছিল। নীতীশকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। নীতীশ ফিরেছেন বিজেপির কাছেই।
২০০৫ সালে বিজেপির হাত ধরেই প্রথমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন জনতা দল (ইউনাইটেড)-জেডিইউর প্রতিষ্ঠাতা নীতীশ কুমার। তারপর কখনো বিজেপির সঙ্গে থেকেছেন, কখনো একাই লড়েছেন। এর আগে বলেছিলেন, বিজেপির সঙ্গে কখনো তিনি হাত মেলাবেন না। কিন্তু রবিবার বিকালে বিহারে পুনর্গঠিত এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি শপথও নিলেন।
ফলে বড়সড় ধাক্কার মুখে পড়ল “ইন্ডিয়া” জোট।বিরোধী জোট ছেড়ে নীতীশ কুমার ফের বিজেপির হাত ধরার পর জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী বলেন, “কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মল্লিকার্জুন খড়গের নাম বলিয়েছিল। ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব চুরি করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। এর আগে মুম্বাইয়ের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিরোধী জোট কোনো প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছাড়াই ভোটে লড়বে।”
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়া জোট কার্যত ভেঙে পড়ার মুখে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসন সমঝোতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে মমতা থাকবেন বললেও জোটের প্রাসঙ্গিকতা কমে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার সকালে পদত্যাগ করার পর ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নীতীশ বলেছিলেন, “আজ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমরা যে নতুন মহাজোট তৈরি করেছি সেটি ভালো অবস্থায় নেই। পরিস্থিতি ভালো মনে হচ্ছে না।”
বিকালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পরই নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এনডিএর ১২৮ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের দাবি করেছিলেন নীতীশ কুমার। তার সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্রাট চৌধুরি। বিহারে বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন সম্রাট চৌধুরি এবং উপনেতা বিজয় সিং। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ছাড়াও বেশ কয়েকজন অকংগ্রেসি নেতাও বিরোধী জোটের মুখ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন।