সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এক কর্মকর্তার নামে হেলিকপ্টার থাকার তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এখন সেই হেলিকপ্টারের খোঁজে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই কর্মকর্তার নাম মো. জাকির হোসেন। তিনি পিরোজপুরে সওজের বিভাগীয় হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে জ্ঞাত আয় বহিভর্‚ত সম্পদ থাকারও অভিযোগ রয়েছে। এই হিসাবরক্ষকের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। খুলনার বয়রা কলেজ রোডেও তার বাড়ি রয়েছে। তার বাবার নাম মৃত দেলোয়ার হোসেন। তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুদক দুই সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে।
অনুসন্ধান কর্মকর্তারা হলেন পিরোজপুর জেলা দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান ও মো. শরীফ শেখ। ২৩ জানুয়ারি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগের বিষয়ে দাপ্তরিক চিঠি দেন দুদক অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
চিঠিতে জাকির হোসেনের স্ত্রী রত্না সুলতানা, ছেলে শাহরিয়ার হোসেন, মেয়ে শারমিন সুলতানা ও বোন লাইজু আফরিনের নাম ঠিকানা উলেখ করে তাদের নামে কোনো আকাশযান নিবন্ধন হয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে। নাম-ঠিকানা যাচাই করে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও অনুরোধ করা হয় চিঠিতে। তবে দুদক সূত্র জানায়, এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, জাকির হোসেন সড়ক ও জনপথের নিজস্ব কর্মকর্তা নন। তাকে এজি অফিস থেকে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পিরোজপুর সড়ক বিভাগে কর্মরত রয়েছেন ৬ বছর ধরে।
এদিকে জাকির হোসেন অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করে বলেছেন, তার নামে যেখানে কোনো গাড়িই নেই, তিনি কি করে হেলিকপ্টার কিনবেন। এটা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তিনি বলেন, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের কোনো অভিযোগ তার কাছে আসেনি। তবে ঘটনার সত্যতা পেলে নিয়ম অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে জাকির হোসেন ছুটিতে রয়েছেন বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।
পিরোজপুর জেলা দুদকের উপ-পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা জানান, জাকির হোসেন বা তার পরিবারের কোনো সদস্যের হেলিকপ্টারের মালিকানা রয়েছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে।