নির্বাচন শেষ হওয়ার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের পূর্ণ ফলাফল পাওয়া যায়নি। তবে পূর্ণ ফলাফল প্রকাশের আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দাবি করেছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন— এর নওয়াজ শরীফ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) লাহোরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন নওয়াজ। উপস্থিত সমর্থকদের তিনি জানান, জাতীয় পরিষদে তারা একক দল হিসেবে সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন এখন তিনি জোট সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, “আমি শেহবাজ শরীফকে ফজলুর রহমান, খালিদ মাকবুল সিদ্দিকী এবং আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে আলোচনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।” এই বক্তব্যকে নিজের ‘বিজয়ী ভাষণ’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
নওয়াজ শরীফ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি করলেও, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইমরান খানের পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেক ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
পাক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৭১টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৭৪টি আসন। নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ-এন পেয়েছে ৫০টি আসন। বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৪০টি আসন। এমকিউএম-পি পেয়েছে পাঁচটি আসন। জেইউআই-এফ পেয়েছে একটি আসন। আর অন্যান্য দলগুলো পেয়েছে একটি আসন।
পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। আর এখন যদি পিটিআইকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো দলকে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়; তাহলে এটি সংবিধান বিরোধী হবে।
পাকিস্তানের বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন নওয়াজ শরীফের এ বক্তব্যকে ‘অপরিপক্ক ভাষণ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
অপর সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একশরও বেশি আসনে এগিয়ে আছেন।
পিটিআই অভিযোগ করেছে, অনেক জায়গায় এখনো ফলাফল আটকে রাখা হয়েছে। এছাড়া তাদের প্রার্থীদের প্রিজাইডিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: দ্য ডন, জিও টিভি।