আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের নমিনেশন পেপার জমা দেয়ার শেষ দিন পার হয়েছে। বলা হচ্ছে নিবন্ধিত চুয়াল্লিশ দলের প্রায় ত্রিশ দল এই প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে।
সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখার কোন বিকল্প নাই এই নির্বাচনের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। আশা করা যায়, বাকি প্রক্রিয়াও যথাযথভাবেই সম্পন্ন হবে।
সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের প্রক্রিয়ার কর্মকান্ডগুলো ধাপে ধাপে সংঘটিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা শেষ হয়ে যায়নি।ইতিমধ্যেই দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, বিতরণ ও যাচাইয়ের কাজ হয়েছে। দলীয় সনদ নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার কাজ শেষ হয়েছে। বিদেশীদের অবান্তর দৌড়ঝাঁপ কমে এসেছে।
একটু পিছনে ফিরে দেখা যায়, দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহের প্রচারিত ফরম ত্রুটিমুক্ত ছিল না।এখানে ধাপে ধাপে যেসব তথ্য জিজ্ঞাসিত ও যুক্ত হয়েছে তা প্রজ্ঞাপূর্ণ মনে হয়নি।দলের সেই ফরমে মুক্তিযুদ্ধের কথা আছে, মুক্তিযোদ্ধার কথা নেই। ‘৭৫ পরবর্তী একজন প্রার্থী কি করেছে কিংবা ২০০৭-২০০৮ সালের জরুরি অবস্থার সময় আবেদনকারীর কি ভূমিকা ছিল কিংবা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সাথে প্রার্থীর পরিবারের কি সম্পর্ক ছিল- এই বিষয়গুলোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারতো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রার্থীর কি ভূমিকা ছিল অথবা তার পরিবার-পরিজনের কি ভূমিকা ছিল।
আমি জানিনা, যেসব প্রার্থীর বাবা-চাচারা মুসলিম লীগ করতেন (অনেকের পরিবার এ কৃতিত্বের অধিকারী)কিংবা ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন লালন করতেন- তারা এই কলামে কি লিখেছেন।
অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের জন্ম হয়নি কিংবা যারা শিশু ছিলেন, যারা আরো পরে জন্মগ্রহণ করেছেন, যারা ইতিহাসকে পাস কাটিয়ে, এলাকার মানুষকে বোকা বানিয়ে মা-বাবাকে ইতিমধ্যেই মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ছেড়েছেন, এবং ভিন্ন দর্শন লালন করে শিশু- শৈশব অতিক্রান্ত করে এসেছেন, তারা সেই ফরমে কি লিখেছেন আমরা জানিনা। উত্তরাধিকারের যে কয়জন প্রতিনিধি আছেন, বিদেশে লেখাপড়ার সুযোগে ছাত্রলীগ যুবলীগ করতে হয়নি কোনদিন, তারা সেই ফরমের নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদে কি লিখেছেন আমরা জানিনা।
একজন প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করার সুযোগ হয়েছিল, তার বয়স কত? বিনয়ের সাথে সে উত্তর দিয়েছে, একাত্তরের পর তার বাবা বিয়ে করেছে।
যে শিশু একাত্তর দেখেনি, তার কাছে ‘৭৫ এর পরে তার ভূমিকা কি ছিল অথবা পরবর্তী এরকম আরও কিছু প্রশ্ন অবান্তর মনে হয়েছে। এ ফরম তৈরিতে অভিজ্ঞতা কাজ করেছে বলে মনে হয়নি।
আরো মনে করার কারণ আছে, আওয়ামীলীগ দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নের সকল দায়-দায়িত্ব নিজের ওপর নিয়ে বলেছেন, ‘তিন হাজার তিন শত বাহাত্তর জন প্রার্থী থেকে ৩০০ জনকে বাছাই করা কঠিন কাজ ছিল।’ খুবই স্বাভাবিক যে এ বিড়ম্বনার কাজের জন্য সময় ছিল খুব কম। কাজটি ছিল জটিল ও কঠিন। দুর্ভাগ্য হলো, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়-কর্মে অনেক আগে থেকেই প্রার্থী বাছাইয়ের কাজটি নিখুঁতভাবে দলীয় সভানেত্রীর সরাসরি তদারকিতে, সময় নিয়ে সংঘটিত হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। আওয়ামীলীগ দলীয় সভানেত্রীর সাথে এজন্য সাধারণ প্রার্থীদের সরাসরি সাক্ষাৎ- সংযোগের একটি পর্যায় কিংবা পর্ব থাকতে পারতো। এতে করে উভোমুখি উপকারিতা লক্ষণীয় হতো। নির্ভরশীলতা বিলুপ্ত হতো। বিশেষ ব্যক্তির কিংবা গোষ্ঠীর প্রভাব পিছনে পড়ে থাকত। কিন্তু দৃশ্যত তা হয়নি।
জাহাজ ঘাটে স্থানীয় হোটেলে খেতে বসে অর্ধেক খাবার খাওয়ার আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয়ার মত ঘটনায় হোটেলে খাবার বিল নেয়া দেয়া, খাবার শেষ করা প্রভৃতিতে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যাত্রীর আর্থিক ক্ষতি হতো কৌশলে। গত শতকের শেষের দিকের কথা বলছি। এখানে তাই হয়েছে কিনা ক্ষমতাসীন নীতিনির্ধারকরা ভেবে দেখতে পারেন।
কোন কোন প্রার্থী আবেদনের আগেই দলীয় সভানেত্রীর সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করে দৌড়ঝাঁপ করেছে। নিজের ব্যাপারে আপডেট দিতে চেয়েছে। সুযোগ হয়নি। সময়ের স্বল্পতা ও বিশেষ বিশেষ দেয়ালের দৃশ্য ও অদৃশ্যমান আচ্ছাদনের কারণে।
দলীয় মনোনয়নের আবেদনের পরেও কোন কোন প্রার্থীর আকাঙ্ক্ষা ছিল দলীয় সভানেত্রীর সামনে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের অবস্থান ও যোগ্যতাকে তুলে ধরা। কিন্তু তাও সম্পন্ন হয়নি বিভিন্ন কারণে। গণশোনানীতে তা কোনভাবেই সম্ভবও নয়। তাই প্রার্থীদের আক্ষেপ, বেদনা থেকে গেছে।
এসব কিছুর জন্য বিভিন্ন প্রকার মধ্যবর্তী নেতা-নেত্রী কিংবা ব্যক্তিবর্গের দেয়াল অন্যতম কারণ। সময়ের স্বল্পতাও ছিল অন্যতম কারণ।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে এরকম একটি দেখা সাক্ষাৎ কিংবা মতবিনিময়ের পর্বের সুযোগ থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে তা আরো বস্তুনিষ্ঠ হতে পারত। শতবর্ষী এ দল উপকৃত হতো।
তাঁকে বলতে হতো না,- ‘দু-একটি জায়গায় প্রার্থী বাছাইয়ে এদিক-সেদিক হয়েছে।’
ফরমের বিবৃতি কিংবা বর্ণনা যাই থাকুক না কেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল প্রার্থীর সাথে কিংবা সকল প্রার্থীর তথ্যের সাথে যেতে পারেননি-তা স্পষ্ট বুঝা যায়। বিষয়টি ভায়া মিডিয়া হয়েছে। একজন প্রার্থীর জন্য তা দুর্ভাগ্যজনক।
আওয়ামী লীগ বড় দল। স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল। স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন প্রার্থী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জটিও ছোট নয়।
আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডের পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত থাকবে। এ কথাটি যেমন বাস্তব, তেমনি নেতা সমর্থকের সংখ্যাও সাধারণ থাকবেনা -তা মনে না করার কারণ নেই। কিন্তু নেত্রীকে বলতে হয়েছে, কাজটি ছিল কঠিন এবং দু-চারটা এদিক-সেদিক যে হয়নি- তা নয়।
মুক্তিযুদ্ধ প্রাধান্য পেয়েছে বলার সুযোগ নেই। তাই মুক্তিযোদ্ধাও প্রাধান্য পায়নি। বিষয়টি আরো তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরে যাদের উপর নেতা-নেত্রীরা নির্ভর করে কিংবা আস্থায় নেয় , তাদের ব্ল্যাংক সনদ দিয়ে অতীতে ভুল হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘সব হারিয়েছে আমি আজ নিঃস্ব। আপনারাই আমার ভাই বোন পরিবার।’ তাঁর আবেগ এবং রোদন সেদিন সমগ্র জাতিকে নাড়া দিয়েছিল। এদেশের মানুষ এই কথার গুরুত্ব ও মর্মার্থ অনুধাবন করে আবেগে আপ্লুত ছিল। এই কথার সংবেদনশীলতাকে অন্তর দিয়ে গ্রহণ করেছিল। তাই তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিজের পরিবারের আপনজন মনে করে।
এখানেও সমস্যা থেকে যায়। কেউ কেউ তা বেশি করে মনে করে।
আওয়ামী লীগের মতো জনসম্পৃক্ত একটি দলের সভানেত্রীর সাথে কোনভাবেই কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা এবং সামাজিক গুরুত্ব বহন করা একজন ব্যক্তি মাসের পর মাস, বছরের পর বছর সাক্ষাৎ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হয় না। বিশেষ করে জননেত্রী বা জননীনেত্রীর কাছ থেকে।
এ দলটিতে গোষ্ঠীপ্রীতি, আঞ্চলিক প্রীতি কিংবা অন্যান্য প্রীতির সুযোগ থাকার সুযোগ নেই।
কিন্তু কোন কোন দায়িত্বশীল পদাধিকারী ব্যক্তির আচরণ দলীয় এই অনুভূতিকে সতত ক্ষুন্ন করে।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের চেতনার ঠিকানা। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিয়ে এবং সে ভাতার আগে পরবর্তীতে ‘সম্মানী’ শব্দ যুক্ত করে তাদেরকে ‘গরিব সম্মানীয়’ ব্যক্তি করে রাখা হয়েছে। দেশের একটি অংশ, রাজনীতির একটি অংশ অপেক্ষায় আছে, কখন মুক্তিযুদ্ধে গর্বিত অংশগ্রহণকারী সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করে।
এটি কারো কারো জন্য কল্যাণকর হলেও যাদের জন্য কথাটি প্রযোজ্য, তাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
হাইব্রিড নয়, মুসলিম লিগারের সন্তান নয় কিংবা পরবর্তী সময়ে আমলা- এমপি- মন্ত্রী- মিনিস্টার হয়ে মা-বাবাকে মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত করার দলীয় কর্মী নয়, যথার্থই এদেশে এখনও বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকদের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কোটা সংসদে থাকা উচিত ছিল- যা দাবি করা ঐতিহাসিক চেতনার অংশ, অনধিকার চর্চা নয়।
বঙ্গবন্ধুকে আলজিয়ার্সে কেস্ট্রো জিজ্ঞেস করেছিল, ‘তোমার আমলাতন্ত্র কারা পরিচালনা করছে।’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আগে যারা করত তারাই।’ তাঁকে বলা হয়েছিল, ‘তাহলে তো সর্বনাশ হবে।’ তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমার আর পথ কি?’ ফ্রিদেল বলেছিলেন, ‘তোমার মুক্তিযোদ্ধারা কোথায়?’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘তারা তো এ বিষয়ে অনভিজ্ঞ।’ ফ্রিদেল বলেছিলেন, ‘তারা ভুল করবে, ভুল করে করে শিখবে, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা বেইমানি করবে না।’ বঙ্গবন্ধু তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
আমরা ইতিমধ্যেই সে বিষয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি । বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বলেছিলেন, ‘চাচাদের দরাজায় দরজায় গিয়েছি। কেউ দরজা খুলেনি।’আমরা বলি, ভবিষ্যতে চাচাদের সন্তান কিংবা নাতি-নাতনিরা অন্য কোন মাত্রার বিপর্যয়ে দরজা খুলবে, এগিয়ে আসবে- এই নিশ্চয়তার পথ আমরা সৃষ্টি করিনি।
জনগণ বলতে পারে যারা চার, পাঁচ ,সাতবার এমপি মন্ত্রী থেকেছে অথচ নিজ নিজ এলাকায় নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারেনি, এটিকে অযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে না কেন। তারা এমনকি নিজেদের সন্তানদেরও তৈরি করতে পারেনি আগামীর জন্য। অনেক জায়গাতেই তাদের সন্তানদের চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। অথবা নিজেরাই এমপি হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এটি দলের জন্য সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নকে বাধাগ্রস্ত করে। এভাবেই ছাত্রলীগ যুবলীগ কিংবা অঙ্গ কোন সংগঠনে কোন পদে না থেকেও উত্তরাধিকারের প্রতিভূ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
জনগণের সাথে, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যার ব্যক্তিগত অথবা সমষ্টিগত মতবিনিময় অনানুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সক্রিয় ও সচল থাকা দরকার। এর জন্য যেসব বিপত্তি কিংবা বাধা কিংবা দেয়াল আছে, তা দূরীভূত হওয়া দরকার।
প্রার্থী নির্বাচনের আগে একাধিক প্রার্থী বা ব্যক্তি তাদের নেত্রীর সাথে দেখা করার, মতবিনিময় করার, নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা যে করে নাই, তা নয়। কিন্তু রাজনীতির নামে নিরাপত্তার নামে, ব্যস্ততার নামে সেই দেয়াল, সেই সংযোগটিক থামিয়ে দিয়েছে, সফল হতে দেয়নি। আমরা মনে করি এটা সঠিক নয়।
সবকিছু ছাপিয়ে নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। অনেক বঞ্চিত প্রার্থীদের মনে ব্যথা -বেদনা- ক্ষোভ আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ডামী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসতে তাদের অনুরোধ করেছেন। প্রচলিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য এটি যথাযথ বলে আমরা মনে করি।
এখান থেকেও অনিয়ম কিংবা নিয়ম ভাঙ্গার খবর আসবে। ইতিমধ্যে আসা শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের আবেগ, অস্থিরতা, চঞ্চলতা, উচ্ছ্বাস কিংবা উল্লাসে নিয়ম ভাঙ্গার কথা শোনা যাচ্ছে। জনগণ আশা করে সব অনিয়মকে পিছনের ফেলে যথাযথ সময়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
সংবিধানের সুরক্ষার ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জয়ী হবে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ স্বপ্নজয়ের পথে অনেক দূর এগিয়ে যাবে, বৈশ্বিক সংকট, সংশয়, ষড়যন্ত্র, সীমিত হবে,নির্মূল হবে- এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।
বায়ান্ন বছরের এই বাংলাদেশে উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার অদম্য, অনিরুদ্ধ নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই।
শেখ হাসিনার বাংলাদেশ প্রত্যয়ের সাথে, প্রত্যাশার সাথে, প্রতিজ্ঞার সাথে, প্রতীতীর সাথে সফলতা অর্জন করুক, সে প্রত্যাশা সমগ্র জাতির।
মুক্তিযোদ্ধা
অধ্যাপক
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও পরিবেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র, চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক।
শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই
ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের নমিনেশন পেপার জমা দেয়ার শেষ দিন পার হয়েছে। বলা হচ্ছে নিবন্ধিত চুয়াল্লিশ দলের প্রায় ত্রিশ দল এই প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে।
সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখার কোন বিকল্প নাই এই নির্বাচনের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। আশা করা যায়, বাকি প্রক্রিয়াও যথাযথভাবেই সম্পন্ন হবে।
সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের প্রক্রিয়ার কর্মকান্ডগুলো ধাপে ধাপে সংঘটিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা শেষ হয়ে যায়নি।ইতিমধ্যেই দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, বিতরণ ও যাচাইয়ের কাজ হয়েছে। দলীয় সনদ নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার কাজ শেষ হয়েছে। বিদেশীদের অবান্তর দৌড়ঝাঁপ কমে এসেছে।
একটু পিছনে ফিরে দেখা যায়, দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহের প্রচারিত ফরম ত্রুটিমুক্ত ছিল না।এখানে ধাপে ধাপে যেসব তথ্য জিজ্ঞাসিত ও যুক্ত হয়েছে তা প্রজ্ঞাপূর্ণ মনে হয়নি।দলের সেই ফরমে মুক্তিযুদ্ধের কথা আছে, মুক্তিযোদ্ধার কথা নেই। ‘৭৫ পরবর্তী একজন প্রার্থী কি করেছে কিংবা ২০০৭-২০০৮ সালের জরুরি অবস্থার সময় আবেদনকারীর কি ভূমিকা ছিল কিংবা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সাথে প্রার্থীর পরিবারের কি সম্পর্ক ছিল- এই বিষয়গুলোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারতো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রার্থীর কি ভূমিকা ছিল অথবা তার পরিবার-পরিজনের কি ভূমিকা ছিল।
আমি জানিনা, যেসব প্রার্থীর বাবা-চাচারা মুসলিম লীগ করতেন (অনেকের পরিবার এ কৃতিত্বের অধিকারী)কিংবা ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন লালন করতেন- তারা এই কলামে কি লিখেছেন।
অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের জন্ম হয়নি কিংবা যারা শিশু ছিলেন, যারা আরো পরে জন্মগ্রহণ করেছেন, যারা ইতিহাসকে পাস কাটিয়ে, এলাকার মানুষকে বোকা বানিয়ে মা-বাবাকে ইতিমধ্যেই মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ছেড়েছেন, এবং ভিন্ন দর্শন লালন করে শিশু- শৈশব অতিক্রান্ত করে এসেছেন, তারা সেই ফরমে কি লিখেছেন আমরা জানিনা। উত্তরাধিকারের যে কয়জন প্রতিনিধি আছেন, বিদেশে লেখাপড়ার সুযোগে ছাত্রলীগ যুবলীগ করতে হয়নি কোনদিন, তারা সেই ফরমের নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদে কি লিখেছেন আমরা জানিনা।
একজন প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করার সুযোগ হয়েছিল, তার বয়স কত? বিনয়ের সাথে সে উত্তর দিয়েছে, একাত্তরের পর তার বাবা বিয়ে করেছে।
যে শিশু একাত্তর দেখেনি, তার কাছে ‘৭৫ এর পরে তার ভূমিকা কি ছিল অথবা পরবর্তী এরকম আরও কিছু প্রশ্ন অবান্তর মনে হয়েছে। এ ফরম তৈরিতে অভিজ্ঞতা কাজ করেছে বলে মনে হয়নি।
আরো মনে করার কারণ আছে, আওয়ামীলীগ দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নের সকল দায়-দায়িত্ব নিজের ওপর নিয়ে বলেছেন, ‘তিন হাজার তিন শত বাহাত্তর জন প্রার্থী থেকে ৩০০ জনকে বাছাই করা কঠিন কাজ ছিল।’ খুবই স্বাভাবিক যে এ বিড়ম্বনার কাজের জন্য সময় ছিল খুব কম। কাজটি ছিল জটিল ও কঠিন। দুর্ভাগ্য হলো, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়-কর্মে অনেক আগে থেকেই প্রার্থী বাছাইয়ের কাজটি নিখুঁতভাবে দলীয় সভানেত্রীর সরাসরি তদারকিতে, সময় নিয়ে সংঘটিত হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। আওয়ামীলীগ দলীয় সভানেত্রীর সাথে এজন্য সাধারণ প্রার্থীদের সরাসরি সাক্ষাৎ- সংযোগের একটি পর্যায় কিংবা পর্ব থাকতে পারতো। এতে করে উভোমুখি উপকারিতা লক্ষণীয় হতো। নির্ভরশীলতা বিলুপ্ত হতো। বিশেষ ব্যক্তির কিংবা গোষ্ঠীর প্রভাব পিছনে পড়ে থাকত। কিন্তু দৃশ্যত তা হয়নি।
জাহাজ ঘাটে স্থানীয় হোটেলে খেতে বসে অর্ধেক খাবার খাওয়ার আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয়ার মত ঘটনায় হোটেলে খাবার বিল নেয়া দেয়া, খাবার শেষ করা প্রভৃতিতে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যাত্রীর আর্থিক ক্ষতি হতো কৌশলে। গত শতকের শেষের দিকের কথা বলছি। এখানে তাই হয়েছে কিনা ক্ষমতাসীন নীতিনির্ধারকরা ভেবে দেখতে পারেন।
কোন কোন প্রার্থী আবেদনের আগেই দলীয় সভানেত্রীর সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করে দৌড়ঝাঁপ করেছে। নিজের ব্যাপারে আপডেট দিতে চেয়েছে। সুযোগ হয়নি। সময়ের স্বল্পতা ও বিশেষ বিশেষ দেয়ালের দৃশ্য ও অদৃশ্যমান আচ্ছাদনের কারণে।
দলীয় মনোনয়নের আবেদনের পরেও কোন কোন প্রার্থীর আকাঙ্ক্ষা ছিল দলীয় সভানেত্রীর সামনে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের অবস্থান ও যোগ্যতাকে তুলে ধরা। কিন্তু তাও সম্পন্ন হয়নি বিভিন্ন কারণে। গণশোনানীতে তা কোনভাবেই সম্ভবও নয়। তাই প্রার্থীদের আক্ষেপ, বেদনা থেকে গেছে।
এসব কিছুর জন্য বিভিন্ন প্রকার মধ্যবর্তী নেতা-নেত্রী কিংবা ব্যক্তিবর্গের দেয়াল অন্যতম কারণ। সময়ের স্বল্পতাও ছিল অন্যতম কারণ।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে এরকম একটি দেখা সাক্ষাৎ কিংবা মতবিনিময়ের পর্বের সুযোগ থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে তা আরো বস্তুনিষ্ঠ হতে পারত। শতবর্ষী এ দল উপকৃত হতো।
তাঁকে বলতে হতো না,- ‘দু-একটি জায়গায় প্রার্থী বাছাইয়ে এদিক-সেদিক হয়েছে।’
ফরমের বিবৃতি কিংবা বর্ণনা যাই থাকুক না কেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল প্রার্থীর সাথে কিংবা সকল প্রার্থীর তথ্যের সাথে যেতে পারেননি-তা স্পষ্ট বুঝা যায়। বিষয়টি ভায়া মিডিয়া হয়েছে। একজন প্রার্থীর জন্য তা দুর্ভাগ্যজনক।
আওয়ামী লীগ বড় দল। স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল। স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন প্রার্থী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জটিও ছোট নয়।
আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডের পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত থাকবে। এ কথাটি যেমন বাস্তব, তেমনি নেতা সমর্থকের সংখ্যাও সাধারণ থাকবেনা -তা মনে না করার কারণ নেই। কিন্তু নেত্রীকে বলতে হয়েছে, কাজটি ছিল কঠিন এবং দু-চারটা এদিক-সেদিক যে হয়নি- তা নয়।
মুক্তিযুদ্ধ প্রাধান্য পেয়েছে বলার সুযোগ নেই। তাই মুক্তিযোদ্ধাও প্রাধান্য পায়নি। বিষয়টি আরো তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরে যাদের উপর নেতা-নেত্রীরা নির্ভর করে কিংবা আস্থায় নেয় , তাদের ব্ল্যাংক সনদ দিয়ে অতীতে ভুল হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘সব হারিয়েছে আমি আজ নিঃস্ব। আপনারাই আমার ভাই বোন পরিবার।’ তাঁর আবেগ এবং রোদন সেদিন সমগ্র জাতিকে নাড়া দিয়েছিল। এদেশের মানুষ এই কথার গুরুত্ব ও মর্মার্থ অনুধাবন করে আবেগে আপ্লুত ছিল। এই কথার সংবেদনশীলতাকে অন্তর দিয়ে গ্রহণ করেছিল। তাই তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিজের পরিবারের আপনজন মনে করে।
এখানেও সমস্যা থেকে যায়। কেউ কেউ তা বেশি করে মনে করে।
আওয়ামী লীগের মতো জনসম্পৃক্ত একটি দলের সভানেত্রীর সাথে কোনভাবেই কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা এবং সামাজিক গুরুত্ব বহন করা একজন ব্যক্তি মাসের পর মাস, বছরের পর বছর সাক্ষাৎ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হয় না। বিশেষ করে জননেত্রী বা জননীনেত্রীর কাছ থেকে।
এ দলটিতে গোষ্ঠীপ্রীতি, আঞ্চলিক প্রীতি কিংবা অন্যান্য প্রীতির সুযোগ থাকার সুযোগ নেই।
কিন্তু কোন কোন দায়িত্বশীল পদাধিকারী ব্যক্তির আচরণ দলীয় এই অনুভূতিকে সতত ক্ষুন্ন করে।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের চেতনার ঠিকানা। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিয়ে এবং সে ভাতার আগে পরবর্তীতে ‘সম্মানী’ শব্দ যুক্ত করে তাদেরকে ‘গরিব সম্মানীয়’ ব্যক্তি করে রাখা হয়েছে। দেশের একটি অংশ, রাজনীতির একটি অংশ অপেক্ষায় আছে, কখন মুক্তিযুদ্ধে গর্বিত অংশগ্রহণকারী সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করে।
এটি কারো কারো জন্য কল্যাণকর হলেও যাদের জন্য কথাটি প্রযোজ্য, তাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
হাইব্রিড নয়, মুসলিম লিগারের সন্তান নয় কিংবা পরবর্তী সময়ে আমলা- এমপি- মন্ত্রী- মিনিস্টার হয়ে মা-বাবাকে মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত করার দলীয় কর্মী নয়, যথার্থই এদেশে এখনও বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকদের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কোটা সংসদে থাকা উচিত ছিল- যা দাবি করা ঐতিহাসিক চেতনার অংশ, অনধিকার চর্চা নয়।
বঙ্গবন্ধুকে আলজিয়ার্সে কেস্ট্রো জিজ্ঞেস করেছিল, ‘তোমার আমলাতন্ত্র কারা পরিচালনা করছে।’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আগে যারা করত তারাই।’ তাঁকে বলা হয়েছিল, ‘তাহলে তো সর্বনাশ হবে।’ তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমার আর পথ কি?’ ফ্রিদেল বলেছিলেন, ‘তোমার মুক্তিযোদ্ধারা কোথায়?’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘তারা তো এ বিষয়ে অনভিজ্ঞ।’ ফ্রিদেল বলেছিলেন, ‘তারা ভুল করবে, ভুল করে করে শিখবে, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা বেইমানি করবে না।’ বঙ্গবন্ধু তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
আমরা ইতিমধ্যেই সে বিষয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি । বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বলেছিলেন, ‘চাচাদের দরাজায় দরজায় গিয়েছি। কেউ দরজা খুলেনি।’আমরা বলি, ভবিষ্যতে চাচাদের সন্তান কিংবা নাতি-নাতনিরা অন্য কোন মাত্রার বিপর্যয়ে দরজা খুলবে, এগিয়ে আসবে- এই নিশ্চয়তার পথ আমরা সৃষ্টি করিনি।
জনগণ বলতে পারে যারা চার, পাঁচ ,সাতবার এমপি মন্ত্রী থেকেছে অথচ নিজ নিজ এলাকায় নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারেনি, এটিকে অযোগ্যতা হিসেবে দেখা হচ্ছে না কেন। তারা এমনকি নিজেদের সন্তানদেরও তৈরি করতে পারেনি আগামীর জন্য। অনেক জায়গাতেই তাদের সন্তানদের চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। অথবা নিজেরাই এমপি হওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এটি দলের জন্য সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নকে বাধাগ্রস্ত করে। এভাবেই ছাত্রলীগ যুবলীগ কিংবা অঙ্গ কোন সংগঠনে কোন পদে না থেকেও উত্তরাধিকারের প্রতিভূ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
জনগণের সাথে, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যার ব্যক্তিগত অথবা সমষ্টিগত মতবিনিময় অনানুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সক্রিয় ও সচল থাকা দরকার। এর জন্য যেসব বিপত্তি কিংবা বাধা কিংবা দেয়াল আছে, তা দূরীভূত হওয়া দরকার।
প্রার্থী নির্বাচনের আগে একাধিক প্রার্থী বা ব্যক্তি তাদের নেত্রীর সাথে দেখা করার, মতবিনিময় করার, নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা যে করে নাই, তা নয়। কিন্তু রাজনীতির নামে নিরাপত্তার নামে, ব্যস্ততার নামে সেই দেয়াল, সেই সংযোগটিক থামিয়ে দিয়েছে, সফল হতে দেয়নি। আমরা মনে করি এটা সঠিক নয়।
সবকিছু ছাপিয়ে নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। অনেক বঞ্চিত প্রার্থীদের মনে ব্যথা -বেদনা- ক্ষোভ আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ডামী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসতে তাদের অনুরোধ করেছেন। প্রচলিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য এটি যথাযথ বলে আমরা মনে করি।
এখান থেকেও অনিয়ম কিংবা নিয়ম ভাঙ্গার খবর আসবে। ইতিমধ্যে আসা শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের আবেগ, অস্থিরতা, চঞ্চলতা, উচ্ছ্বাস কিংবা উল্লাসে নিয়ম ভাঙ্গার কথা শোনা যাচ্ছে। জনগণ আশা করে সব অনিয়মকে পিছনের ফেলে যথাযথ সময়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
সংবিধানের সুরক্ষার ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জয়ী হবে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ স্বপ্নজয়ের পথে অনেক দূর এগিয়ে যাবে, বৈশ্বিক সংকট, সংশয়, ষড়যন্ত্র, সীমিত হবে,নির্মূল হবে- এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।
বায়ান্ন বছরের এই বাংলাদেশে উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার অদম্য, অনিরুদ্ধ নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই।
শেখ হাসিনার বাংলাদেশ প্রত্যয়ের সাথে, প্রত্যাশার সাথে, প্রতিজ্ঞার সাথে, প্রতীতীর সাথে সফলতা অর্জন করুক, সে প্রত্যাশা সমগ্র জাতির।
মুক্তিযোদ্ধা
অধ্যাপক
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও পরিবেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র, চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক।
সোস্যাল নেটওয়ার্ক
জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ভাষণের পূর্ণ বিবরণ
জাতিসংঘে ড. ইউনূস: বাংলাদেশের বিপ্লব মানুষের মুক্তির পক্ষে বিশ্বজুড়ে প্রেরণা যোগাবে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন ড. ইউনূস
বাইডেন-ইউনূস বৈঠক, অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের
নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূস-জো বাইডেন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু
এইচএসসির বাকি পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে, পেছাবে পরীক্ষা
দেশে ফিরলেন ড. ইউনূস: রাত ৮টায় শপথ
নয়াপল্টন জনসমুদ্র, বিএনপির সমাবেশ শুরু