শিক্ষাসফরে ‘মদ্যপান’: দুই শিক্ষক বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি

মাদারীপুর প্রতিনিধি

শিক্ষক ওয়ালিদ মোরশেদ মুঠোফোনে বলেন, ‘ভাইরাল হতে শিক্ষার্থীরা মদের বোতলে জুস খাচ্ছিল। আমি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ওদের নিষেধ করেছি। সবই মজার ছলে হয়েছে, সিরিয়াস কিছু না। তাও আমাকের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

মাদারীপুরের শিবচরে স্কুল থেকে শিক্ষাসফরে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে মদ্যপানের অভিযোগের ঘটনায় দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক শনিবার শিক্ষাসফর শেষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে ফেরার পথে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষক মদ্যপান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে সোমবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ছাত্র বিদেশি মদের বোতল থেকে শিক্ষককে মদ ঢেলে দিচ্ছেন, আবার শিক্ষকের সামনেই শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উল্লাস করে মদ্যপান করছেন। বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ওয়ালিদ মোরশেদ মদের বোতল হাতে নিয়ে মদ ঢালছেন ও শিক্ষার্থীদের হাতে মদের বোতল দিচ্ছেন।

এ ঘটনায় শিক্ষক ওয়ালিদ মোরশেদ ও আল নোমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা করা হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসন তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মাকসুদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার আসাদুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।

তদন্ত কমিটিকে মঙ্গলবারের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোরে বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৪১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাসফরের উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও যায়।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা ভাইরাল হতে মদের বোতলে জুস ভরে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।

শিক্ষক ওয়ালিদ মোরশেদ মুঠোফোনে বলেন, ‘ভাইরাল হতে শিক্ষার্থীরা মদের বোতলে জুস খাচ্ছিল। আমি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ওদের নিষেধ করেছি। সবই মজার ছলে হয়েছে, সিরিয়াস কিছু না। তাও আমাকের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন শিকদারও একই দাবি করে বলেন, ‘শিক্ষকদের কোনো দোষ না। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো অসামাজিক কাজ করেনি। তাও সঠিক তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত