সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যে পাতা ছেঁড়ার পর চাকরিচ্যুত হন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আসিফ মাহতাব। গত ২০ জানুয়ারি কোনো ব্যাখ্যা না দিয়েই তাকে চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা হয়। নয় দিন পর অবশেষে চাকরিচ্যুতির কারণ জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি।
সোমবার সকালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফাতিয়াস ফাহমিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাহতাবের চাকরিচ্যুতির কারণ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য আচরণ, যা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমর্থন করে না। সাম্প্রতিক সময়ে ব্র্যাকের শিক্ষক আসিফ মাহতাব সপ্তম শ্রেণির জাতীয় পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছেঁড়া এবং পাবলিক ফোরামে অন্যদেরকে একই কাজ করতে বলার ঘটনাটিকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি একটি ধ্বংসাত্মক কাজ বলে মনে করে। এ ধরনের অশিক্ষকসুলভ আচরণকে তারা কোনোভাবেই সমর্থন করে না।”
একারণে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের স্প্রিং সেমিস্টারের জন্য আসিফ মাহতাবকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নতুন চুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইউনিভার্সিটি মাহতাবকে এই সেমিস্টারের প্রস্তুতিমূলক কাজে তার সময় ও প্রচেষ্টার জন্য পারিশ্রমিক প্রদান করবে।
গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে তাদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। এর প্রতিবাদে এই পাঠ্যবই থেকে ওই গল্পের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেনি আসিফ মাহতাব।
এর পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বরখাস্ত করা হয়।