এবার শরীফ থেকে শরীফা অধ্যায় বাতিলের দাবিতে পথে নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা। তারা বৃহস্পতিবার মিরপুর রোডে নেমে সপ্তম শ্রেণীর ওই অধ্যায় বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে সিটি কলেজের দিকে এগিয়ে যায়।
এ সময় এক শিক্ষার্থী দাবি করেন, তাদের ৭ জন সহপাঠীকে সিটি কলেজে আটকে রাখা হয়েছে, তবে কেন রাখা হয়েছে- ঘটনা বিস্তারিত কিছুই বলতে পারেননি।
এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের ওই অংশ ব্যানার নিয়ে মিছিল শুরু করে। তাদের বহন করা ব্যানারে লেখা ছিল- ‘আমার দেশের ভবিষ্যৎ হতে দেব না অসৎ।’ আরেক লাইনে লেখা ছিল- ‘সমকামীতা বাংলাদেশে অবৈধ।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে চলছে তোলপাড়। সামাজিক মাধ্যম কিংবা বাস্তব মাধ্যম-দুই মাধ্যমেই এখন আলোচিত টপিক এই শিক্ষক। সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে হিজড়া সম্প্রদায়কে নিয়ে করা একটি অধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন এই শিক্ষক।
শিক্ষক আসিফ মাহতাবের পুরনো ছবি ভাইরাল!শিক্ষক আসিফ মাহতাবের পুরনো ছবি ভাইরাল!
গত শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।
‘যেখানেই যাই মানুষ জিজ্ঞেস করে শিমুল কই’‘যেখানেই যাই মানুষ জিজ্ঞেস করে শিমুল কই’
শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে এই সম্মেলন হলেও এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
পাঠ্যবই ছিঁড়ে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করলেন ব্র্যাক শিক্ষকপাঠ্যবই ছিঁড়ে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করলেন ব্র্যাক শিক্ষক
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এসময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এ দৃশ্যের একটি ভিডিও মাহতাব তার নিজের ফেসবুকে আপলোড করেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।