- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া ছুটি বাড়ানো সম্ভব নয়
অর্ধেক পার হয়ে গেছে রমজান মাস। শুরু হয়ে গেছে ঈদের প্রস্তুতি। তবে এবারের ঈদ-উল-ফিতরের সরকারি ছুটি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদে সরকারি ছুটি থাকবে ১০ থেকে ১২ এপ্রিল। রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে ধরে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেব ঈদ-উল-ফিতর ১১ এপ্রিল। ঈদের আগের দিন, ঈদের দিনে এবং ঈদের পরের দিন সরকারি ছুটি ধরা হয়েছে।
তবে রমজান মাস যদি ২৯ দিনে হয়, তাহলেই বিপত্তি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো কারণে ২৯ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হলে ২৯তম দিনটি হবে ৯ এপ্রিল। অন্যদিকে, সরকারি ছুটি ১০ এপ্রিল থেকে। তাই ৯ এপ্রিল অফিস খোলা থাকবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল সাধারণ ছুটি। ঈদের আগের দিন ১০ এপ্রিল এবং পরের দিন ১২ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রযুক্তিগত নিশ্চয়তা থেকে ছুটির তালিকায় ২৯ রমজান রাখা হয়নি। আর এখন যদি ২৯ রোজার দিনে ছুটি ঘোষণা করতে হয়, সেই এখতিয়ার শুধু প্রধানমন্ত্রীর। অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া ছুটি বাড়ানো সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছুটি নির্ধারণ করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন যে তালিকা দিয়েছে, সে অনুযায়ী এবার ৩০ রোজা হবে। ঈদ হবে ১১ এপ্রিল। তাই ৩০ রমজান, ঈদ ও পরের দিন ছুটি থাকবে। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আগে থেকেই জানা যায়, কয়টি রোজা হবে, কবে ঈদ হবে। আগে অনিশ্চয়তা ছিল, সে কারণে ২৮ রমজানে ছুটি হয়ে যেত। এখন যেহেতু আগেই জানা যাচ্ছে কী হবে, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হচ্ছে।”
বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা এবং দূর অনুধাবন কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, “৯ এপ্রিল চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ বছর রমজান মাস ৩০ দিনেই পূর্ণ হবে।”
এদিকে, জন্য শুধু ৯ এপ্রিল নয়; ৮ এপ্রিলও ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গণপরিবহণে ভাড়া নৈরাজ্য এবং সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি তাদের। তবে ঈদের ছুটি যে কয়দিনই হোক না কেন, এবার বেশ লম্বা ছুটিই মিলছে। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর পরের দিন পহেলা বৈশাখের ছুটি।