রাখাইন-চিনে জান্তার বিমান হামলা, নিহত ৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

* তীব্র লড়াইয়ের পর উত্তর রাখাইন ও দক্ষিণ চিন রাজ্যে জানুয়ারিতে কিউকতাও সম্প্রতি পালেতওয়া আরাকান আর্মির (এএ) নিয়ন্ত্রণে আসে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কিউকতাউ ও চিন রাজ্যের পালেতোয়াতে মিয়ানমারের জান্তার পরিচালিত বিমান হামলায় অন্তত নয়জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিগত ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রাত ১০ টার দিকে কিয়কতাও শহরে বোমা হামলায় সাতজন নিহত এবং নয়জন গুরুতর আহত হয়।

আগের দিন, পালেতওয়া শহরে একটি যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা বোমায় আট বছর বয়সী শিশুসহ দুইজন নিহত হন।

তীব্র লড়াইয়ের পর উত্তর রাখাইন ও দক্ষিণ চিন রাজ্যে জানুয়ারিতে কিউকতাও সম্প্রতি পালেতওয়া আরাকান আর্মির (এএ) নিয়ন্ত্রণে আসে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।

বাহিনীগুলো হল- তা’’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ।

এরই মধ্যে এই জোট মিয়ানমারের বহু অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সংঘাতের কারণে সামরিক সরকার অনেক এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাখাইন রাজ্য এবং তানিনথারি অঞ্চলের বাসিন্দাদের দেশের অন্যান্য শহরে যেতে স্থানীয় প্রশাসকদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

জান্তার পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তানিনথারি ও রাখাইন থেকে অন্য কোথাও যাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের অবশ্যই তাদের আশেপাশের জান্তা-নিয়ন্ত্রিত সাধারণ প্রশাসন বিভাগের অনুমোদন থাকতে হবে।

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক কর্মচারীদের ইয়াঙ্গুনগামী ফ্লাইটের জন্য বিভাগীয় অনুমতি নিতে হবে।

২০২৩ সালের নভেম্বরে আরাকান আর্মি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করার পর রাখাইন রাজ্যে সরকারের অবরোধ কার্যকর করা হয়।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত