যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন আমির খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। তবে এই বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতারা সেখানে আলোচনার বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেননি। অন্যদিকে মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকেও কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।

শনিবার বিকাল ৩টা থেকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে এ বৈঠক হয়। বিএনপির পক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ অংশ নেন।

মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন- ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর আইলিন লাউবেচার, ইউএসএআইডির এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘উনারা আমাদের আমন্ত্রণ করেছেন… আমরা এসেছি… কথাবার্তা বলেছি। এতটুকু বলতে পারব… এর বেশি কিছু বলার নেই।’

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে একই উত্তর পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ‘কথা হয়েছে, উনারা দাওয়াত করেছেন। আমরা এসছি… দ্যাটস অল।’

মার্কিন প্রতিনিধিদলকে আপনারা কী বলেছেন- জানতে চাইলে আমির খসরু ফের একই উত্তর পুনরাবৃত্তি করেন। আমির খসরু বলেন, ‘কিছু বলার নেই।’

দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই নেতা বলেন, ‘একটাই উত্তর হবে, কিছু বলার নেই।’

একপর্যায়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন যে বিএনপি মহাসচিব কারাগারে ছিলেন, আপনিও কারাগারে ছিলেন- এ বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা?

জবাবে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা যত প্রশ্ন করবেন… আমার উত্তর হচ্ছে কিছু বলার নেই।’

এদিকে বৈঠক শেষে মার্কিন প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকেও কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।

উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকায় আসে মার্কিন প্রতিনিধিদলটি। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতির জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন তারা। এ ছাড়া তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট, সুশীল সমাজ, শ্রম সংগঠক এবং মুক্ত গণমাধ্যমের বিকাশে নিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তারা।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত