- তীব্র স্রোতে ধলাই নদীর প্রায় ২০০ ফুট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে
কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তীব্র স্রোতে প্রায় ২০০ ফুট এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের ফলে মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বাঁধে ফাটল ধরে। ধীরে ধীরে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বাঁধের প্রায় ২০০ ফুট এলাকা ভেঙে আশপাশের গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করতে থাকে।
শ্যামেরকোনা বাজারের অদূরে মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যান চলাচলে ব্যাহত হয়। এখনও সড়কে এক থেকে দেড় ফুট পানি রয়েছে।
এদিকে, বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি উঠতে শুরু করেছে। এসব গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। সবমিলিয়ে মৌলভীবাজারে ২ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের মাতারকাপন, বলিয়ারভাগ, সাবিয়া, শ্যামেরকোনাসহ বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া মনু নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। যে কারণে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা, কমলগঞ্জ, বড়লেখা, জুড়ী, রাজনগর, শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, ধলাই নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে কাজ চলছে। মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।