মেরাজের রাতে মহানবী সা. যে ফেরেশতার মুখে হাসি দেখেননি

ধর্ম ডেস্ক

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসাল্লামের মেরাজের ঘটনা সম্পর্কে হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, মেরাজের রাত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসাল্লাম বায়তুল্লাহর শরীফের কাছে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন তখন ফেরেশতা আগমন করেন। তারা তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে জমজম কূপের কাছে শায়িত করেন।

এরপর জিবরাঈল আলাইহিস সালাম নিজ হাতে আল্লাহর রাসূলের(সাঃ) বুক থেকে গলা পর্যন্ত বিদীর্ণ করেন এবং বুক ও পেটের সবকিছু বের করে নিয়ে জমজমের পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেন। এরপর একটি স্বর্ণের পেয়ালা নিয়ে আনা হয়। যাতে একটি স্বর্ণের পেয়ালা ছিল। যা হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ, এর মাধ্যমে তাঁর বক্ষ ও গলার শিরাগুলি পূর্ণ করে দেওয়া হয়। এরপর বুক শেলাই করে দেওয়া হয়।

এরপর দুনিয়ার আকাশে উঠিয়ে নেওয়া হয় তাঁকে। আসমানের দরজাগুলো খোলার জন্য করাঘাত করা হলে ফেরেশতারা জিজ্ঞেস করেন, কে? উত্তরে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বলতেন, আমি জিবরাঈল। আবার প্রশ্ন করেন, আপনার সঙ্গে কে? উত্তরে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে রয়েছেন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

তারা আবার জিজ্ঞেস করেন, তাঁকে কি ডাকা হয়েছে? জিবরাঈল আলাইহিস সালাম উত্তর দেন, হ্যাঁ। এতে সবাই খুশি হন এবং মারহাবা বলে অভ্যর্থনা জানিয়ে তাঁকে নিয়ে যান।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মেরাজের রাতে আসমানের ভ্রমণ শেষে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আমাকে নিয়ে নিচে অবতরণ করলেন।

তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আসমানে যাওয়ার পর প্রত্যেক আসমানের ফেরেশতারা আমাকে দেখে আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং হাসি মুখে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন ও আমার সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। কিন্তু একজন ফেরেশতাকে খেয়াল করেছি তার মুখে কোনো হাসি নেই।

তিনি আমার সালামের জবাব দিয়েছেন এবং আমাকে মারহাবা বলে অভ্যর্থনাও জানিয়েছেন বটে, কিন্তু তার মুখে আমি হাসি দেখিনি। তিনি কে? তার না হাসার কারণই বা কী?

উত্তরে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বললেন, তার নাম মালিক। তিনি জাহান্নামের দারোগা। জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত তিনি কখনো হাসেননি এবং কিয়ামত পর্যন্ত তিনি হাসবেনও না।

(তাফসিরে ইবনে কাসির, ১৩-খণ্ড, ২৭১)।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত