মেয়েকে হত্যার পর টুকরো করে রেস্তোরাঁয় নিয়ে যেতেন বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাঁচ বছরের শিশু হারমোনি নিখোঁজ হয় ২০১৯ সালে। এর প্রায় দুই বছর নিখোঁজের খবর জানতে পারে পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, নিজের পিতাই তাকে হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।

জানা গেছে, গৃহহীন হয়ে পড়ায় অ্যাডাম মন্টগোমারি ও কায়লা মন্টগোমারি দম্পতি পাঁচ বছরের মেয়ে হারমনিকে নিয়ে গাড়িতেই বসবার করছিলেন। গাড়িতে টয়লেটের কাজ সেরে ফেলায় শিশু হারমোনিকে অ্যাডাম বেশ কয়েকবার ঘুষি মারেন। পরে তাকে গাড়ির পেছনের সিটে ফেলে রাখেন। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজের কাজে। খাবার খান, মাদকও সেবন করেন। কয়েক ঘণ্টা পর যখন তার গাড়ি নষ্ট হয়ে যায় তখন তিনি দেখতে পান মরে গেছে হারমনি। এমনটাই জানিয়েছেন শিশুটির মা কায়লা মন্টগোমারি।

অভিযুক্ত অ্যাডাম একটি রেস্তোরাঁয় বাবুর্চি এবং ডিশ ওয়াশার হিসাবে কাজ করতেন। তিনি ভেবেছিলেন, মরদেহ খুঁজে পাওয়া না গেলে তাকে ধরতে পারবে না পুলিশ। তাই মরদেহ গুম করতে আশ্রয় নিয়েছেন লোমহর্ষক এক পদ্ধতির। এ জন্য করাত, ব্লেড ও একটি ট্রাকও কিনেছিলেন তিনি।

মামলার প্রসিকিউটার ক্রিস্টোফার নোলস জানান, হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রেখেছিলেন অ্যাডাম। পরে মরদেহের কিছু অংশ ব্যাগে করে রেস্তোরাঁয় নিয়ে যেতেন অ্যাডাম। রেস্তোরাঁর খাবার ও উপকরণ যে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হত সেখানে রাখতে তিনি। পরে প্রতিদিনের আবর্জনার সঙ্গে মরদেহ ডাস্টবিনে ফেলে দিতেন।

প্রসিকিউটরদের মতে, অ্যাডাম তার মেয়ের মরদেহ তার বন্ধুর গাড়ির ট্রাঙ্কে, তার শাশুড়ির বাড়িতে একটি কুলার ও ফ্রিজে এবং একটি গৃহহীন আশ্রয়ের সিলিং ভেন্টেও লুকিয়ে রেখেছিলেন।

মেয়েকে হত্যার দায়ে অ্যাডামের ৩০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হয়েছে। তার স্ত্রীকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য এবং আদালতে মিথ্যা বলার জন্য ১৮ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত