- দেশ এখন পুরোপুরি মাফিয়া ও লুটেরাদের কবলে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নানা কৌশলে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ভিন্ন কায়দায় ক্ষমতা দখল করেছে। জিয়াউর রহমানে শাহাদাতবার্ষিকীতে আজ আমরা শপথ নিয়েছি- আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’
বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি মাফিয়া ও লুণ্ঠনকারীদের কবলে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সরকার একদিকে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার তার কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণভাবে অপরাধী, লুণ্ঠনকারী ও মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে। বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সম্পদ নষ্ট করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ইনশাআল্লাহ এই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হব।’
এর আগে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে নেতাকর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণরূপে নির্বাসিত, তখন আমরা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মহান নেতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কৌশল অবলম্বন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ভিন্ন কায়দায় ক্ষমতা দখল করেছে।
‘তাই তার (জিয়া) শাহাদাতবার্ষিকীতে আমরা শপথ নিয়েছি যে দেশের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এখন যে আন্দোলন চলছে তা আমরা তরুণ, বৃদ্ধ ও নারীদের সঙ্গে নিয়ে আরও বেগবান করব। আন্দোলনের মাধ্যমে এই ভয়ংকর দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন তিনি।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কালো ব্যাজ ধারণ, সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়সহ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।