মিয়ানমার থেকে আবারও পালিয়ে এলো বিজিপির ৮৮ সদস্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি

  • রোববার টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে তিনটি কাঠের ট্রলারযোগে অনুপ্রবেশ করেন বিজিপি সদস্যরা

 

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়েনের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট এলাকায় তিনটি কাঠের ট্রলারযোগে অনুপ্রবেশ করেন বিজিপি সদস্যরা। এ সময় তাদেরকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের হেফাজতে নিতে দেখেছেন স্থানীয় লোকজন।
কক্সবাজারে টেকনাফে নাফ নদ সীমান্তের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে আবারও পালিয়ে এসেছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) অন্তত ৮৮ জন সদস্য। পালিয়ে আসা এসব বিজিপি সদস্যকে হেফাজতে নিয়েছে কোস্টগার্ড।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়েনের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট এলাকায় তিনটি কাঠের ট্রলারযোগে অনুপ্রবেশ করেন বিজিপি সদস্যরা। এ সময় তাদেরকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের হেফাজতে নিতে দেখেছেন স্থানীয় লোকজন।

বিষয়টি নিয়ে কোস্টগার্ডের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

তবে কোস্টগার্ডের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বিজিপির ৮৮ জন সদস্য ট্রলারযোগে বাংলাদেশের জলসীমায় আসার পর কোস্টগার্ডের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এ সময় তাদের নিরস্ত্রীকরণ করার পর হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বিজিবির সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাও এ নিয়ে কথা বলেননি।

বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে কথা হলে বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পরামর্শ দেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির বলেন, ‘শনিবারের মতো রোববারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে কতজন সেটা এখনও জানা যায়নি। তাদেরকে বিজিবির হেফাজতে রাখা হবে।’

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজির আহমদ বলেন, ‘কাঠের ট্রলারযোগে আসা মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের কোস্টগার্ড সদস্যরা হেফাজতে নেয়ার পর টেকনাফের কেরুনতলীস্থ কোস্টগার্ড স্টেশনের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে অন্তত ৮৮ জন বিজিপি সদস্য রয়েছেন। কোস্টগার্ড স্টেশন কার্যালয়ের পাশে কয়েকটি বাসও অপেক্ষমাণ রয়েছে।’

এর আগে শনিবার ভোরে আরও কিছুসংখ্যক বিজিপি সদস্য মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে সংখ্যাটা ৫০ জনের কম বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির।

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে রোববারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৮০ থেকে ৯০ জন সদস্য পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন এটা শুনেছি। তবে বিষয়টি কোস্টগার্ড ও বিজিবি দেখছে।’

এর আগে দু’দফায় পালিয়ে আসা বিজিপি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন বিজিপি ও মিয়ানমারের সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

এর আগে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত