বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ওপারে সংঘাতের কারণে মাঝে মাঝে এপারে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে, তবে আমরা নজরদারিতে আছি যেন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ না করে।’
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দে আবারও কেঁপে উঠল কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্ত ও টেকনাফ পৌরসভা এবং সাবরাং শাহপরীর দ্বীপ।
বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা গেছে টেকনাফ সীমান্ত এলাকার ১৮ থেকে ২০টি গ্রামে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হ্নীলার চৌধুরী পাড়া ও হোয়াইক্যং সীমান্ত এবং টেকনাফ পৌরসভার সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গোলাগুলির পাশাপাশি অন্তত ২০ থেকে ৩০টি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ হ্নীলা, শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা শুনতে পান। এবার মিয়ানমার থেকে সবচেয়ে বেশি গুলির শব্দ ভেসে আসে টেকনাফ সীমান্তের দক্ষিণ প্রান্তে।
টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকায় সামরিক জান্তা বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে। আজ ভোর ৫টার দিকে নাফনদীর পূর্ব পাশের মিয়ানমারের মংডু শহরের নলবন্ন্যা গ্রামে পর পর তিনটি মর্টার শেলের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে শাহপরীর দ্বীপ।’
তিনি জানান, এখনও আতঙ্কে রয়েছে লোকজন। মংডুর আশপাশের রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশেরের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘মিয়ানমারে উভয়পক্ষের গোলাগুলি, মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে এর প্রভাব এসে পড়ছে এপারে মানুষের ওপর।’
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা ইউনুস বলেন, ‘ফজরের নামাজ পড়তে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম। ঠিক ৪টার পর মর্টার শেলের বিকট শব্দে বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠল। তখন ভয়ে সবার ঘুম ভেঙে যায়। বেশ কয়েকটি মর্টার শেলের শব্দ শুনতে পাই।’
শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের ইজারাদারের টোল আদায়কারী মোহাম্মদ ছিদ্দিক জানান, তিনি ভোরের দিকে নাফ নদের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শুনতে পান।
বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ওপারে সংঘাতের কারণে মাঝে মাঝে এপারে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে, তবে আমরা নজরদারিতে আছি যেন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ না করে।’