ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বাজার অস্থিরের ষড়যন্ত্রে বিএনপি: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বড় অংশই ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। দূর দেশ থেকে আমদানি খরচও বেশি। কাজেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার দুরভিসন্ধি বিএনপির মানসিক বৈকল্যেরই বহিঃপ্রকাশ।’

ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি দেশের বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জনগণ বিএনপির এ ডাকে সাড়া দেবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। খবর বাসসের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না। যারা ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। দেশের জনগণ তাদেরই বয়কট করবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিশ্ব বাস্তবতায় এবং আঞ্চলিক ভূকৌশলগত অবস্থানে দিক দিয়ে ভারত আমাদের তিন দিকেই বেষ্টিত। একদিকে শুধু মিয়ানমার। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বড় অংশই ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। দূর দেশ থেকে আমদানি খরচও বেশি। কাজেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার দুরভিসন্ধি বিএনপির মানসিক বৈকল্যেরই বহিঃপ্রকাশ।’

তিনি বলেন, বিএনপির এক সিনিয়র নেতা দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইছেন। অপরদিকে বিএনপিরই এক জুনিয়র নেতা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছেন। আসলে বিএনপির রাজনীতি এলোমেলো, গোলমেলে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি করেছে মন্তব্য করে সেতু মন্ত্রীর বলেন, ‘সম্পর্ক ভালো রেখেই সুবিধা আদায় সম্ভব। যা করে দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। ছিটমহল বিনিময়, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। এখন তিস্তা, ফেনী নদীর পানি বণ্টনসহ যেগুলো সমাধান হয়নি সম্পর্ক ভালো থাকায় এগুলো নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি আছে, সমাধানও সম্ভব। প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করে লাভ নেই।’

বিএনপি নেতাদের দমন-পীড়নের অভিযোগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে শুরু করে একে একে প্রায় সব নেতা জেল থেকে বের হয়ে গেছেন। অথচ মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে বলছেন, তাদের ওপর দমন-পীড়ন চলছে। প্রায় সব নেতাই জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে গেছেন। এখানে দমন-পীড়ন কোথায়?’

এ সময় ভারতের ভূমি দিয়ে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারত নিমরাজি হবে না বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘ভুটানের রাজা বাংলাদেশ আসছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। ভুটানের রাজার পরিবারের সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক সম্পর্ক আছে। ভারতের ভূমি ব্যবহার করে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারত নিমরাজি হবে না বলে মনে করছি।’

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত