ট্টগ্রামের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটার নিচে প্রথম ইনিংসে চলে জিম্বাবুয়ের উইকেটবৃষ্টি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে আর এক মাসও বাকি নেই। এমন সময় মাঠে নেমে অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স দেখাল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেমেই মাত্র ১২৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তাদের ইনিংস।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে শুরুতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর তার সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে থাকেন বোলার ও ফিল্ডাররা।
চট্টগ্রামের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটার নিচে প্রথম ইনিংসে চলে জিম্বাবুয়ের উইকেটবৃষ্টি।
নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট নেন শেখ মেহেদি হাসান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি। এরপর প্রায় দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে প্রথম ওভারেই সাফল্য পান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তার করা পঞ্চম ওভারের শেষ বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি।
পরের ওভারের প্রথম বলে আবারও বাংলাদেশ শিবিরে উল্লাস। জাকের আলী ও মাহমুদুল্লাহর কৃতিত্বে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তৃতীয় ব্যাটার ব্রায়ান বেনেট। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই হতভম্ব জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও। শেখ মেহেদির বলে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এর ফলে ৩৬তম রানেই তিন উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
স্কোরবোর্ডে দুই রান যোগ হতে না হতেই আবার বিপদ ঘটে অতিথিদের। এবার শূন্য রানে শন উইলিয়ামসকে বোল্ড করে দেন তাসকিন। পরের বলে রায়ান বার্লকে আউট করে হ্যাটট্রিক করার সম্ভাবনা জাগান তিনি। তবে তার সে সম্ভাবনা সত্যি না হলেও ৩৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একেবারে খাদের কিনারে চলে যায় জিম্বাবুয়ে।
পরের ওভারে তৌহিদ হৃদয়ের দারুণ ক্যাচে ফিরতে হয় লুক জঙ্গুয়েকে। ৭.৪ ওভারে ৪১ রানে সাত উইকেটের পতন হলে সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে উইকেটে থিতু হন ক্লাইভ মাদান্দে। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় স্বস্তি ফেরে সফরকারীদের শিবিরে।
শেষ পর্যন্ত ওই দুই ব্যাটারের ৭৫ রানের জুটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ১২৪ রান তুলতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে।
ইনিংসের শেষ দিকে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মাদান্দে, মারেন ছয়টি চারের মার। আর শেষ বলে রান আউট হওয়া ওয়েলিংটন করেন ৩৪ রান; জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দুটি ছক্কাই আসে তার ব্যাট থেকে, সঙ্গে ছিল দুটি চার।
টাইগারদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন ও সাইফুদ্দিন। শেখ মেহেদির ঝুলিতে গেছে দুই উইকেট।