> ঘটনার পর থেকে সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে……
যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত সিপাহী মোহাম্মদ রইস উদ্দীনের মরদেহ ভারতে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন যশোর-৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হোসাইন আহম্মেদ জামিল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২২ জানুয়ারি ভোরে ধান্যখোলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে চোরাইপথে গরু আনছিল। বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া দিলে তারা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবি সদস্য রইস উদ্দীন ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বিজিবি সদস্য মৃত্যুবরণ করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোরে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন তারা। পাচার হওয়া গরুকে দুটোকে বিজিবি ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহত রইস উদ্দীনের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে লে. কর্নেল হোসাইন আহম্মেদ জামিল বলেন, “বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মরদেহ বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত আনার বিষয়ে সব পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।”
