- ইতিমধ্যে ২৩টি লাশ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর শুরু হয়েছে। নিহত ৪৪ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তরের এই সংখ্যা জানিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে মোট ৪৪ টি লাশ পাওয়া গেছে। ২৩টি লাশ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল থেকে ১৫টি এবং বার্ন ইন্সটিটিউট থেকে ৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।”
হস্তান্তর করা লাশের মধ্যে ১১ জন হলেন- নাজিয়া (৩৫), আরহান মোস্তফা (৮), সংকল্প পোদ্দার (১২), মিমু (২০), জান্নাতিন(২৩, ফাতেমা তুজ জোহরা (১৭), রিয়া (২৩), স্বপ্না আক্তার (৩৭), পম্পি সাহা (৪৬), মেহেরা কবির দোলা (২৫), মাইশা কবির মাহী (২০)।
পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম বলেন, “পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।”
পুলিশের রমনা বিভাগের কর্মকর্তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত থেকে বিষয়টি তদারকি করছেন।
জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা হ্যান্ডমাইক নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বজনদের আহ্বান করছিলেন লাশ শনাক্তের জন্য। জরুরি বিভাগের সামনের একটি বারান্দায় নাম-পরিচয় লেখা হচ্ছে। সেখানে ঘিরে আছেন মৃতদের স্বজনরা। কারও চোখে পানি, কেউবা চিৎকার করে কাঁদছেন। কেউ মেঝেতে বসে আছেন বাকরুদ্ধ হয়ে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে “গ্রিন কোজি কটেজ” নামের ভবনটিতে লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তারা প্রথমে পাঁচজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের তথ্য দেয়। এরপর মধ্যরাত থেকে আসতে থাকে মৃত্যুর খবর। রাত ১টা ৫৫ মিনিটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানান। এর মধ্যে ১০ জন মারা যান শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে, ৩৩ জন মারা যান ঢাকা মেডিকেলে, এছাড়া একজন মারা যান পুলিশ হাসপাতালে।