প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ভারি বর্ষণ। আজ সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে তিন-চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে জলজট। কর্মব্যস্ত দিনের শুরুতে এমন বৃষ্টিতে নগরবাসী স্বস্তি পেলেও বিপাকে পড়েছেন পথচারী ও কর্মজীবী মানুষ। অনেকেই ঘণ্টাব্যাপী রাস্তার পাশে অপেক্ষা করছেন বৃষ্টি থামার। জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের ইপিজেড, সল্টগোলা, বন্দর, নিমতলা, বারিক বিল্ডিং আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, জিইসি, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, নতুন ব্রিজ, চকবাজার, পাঁচলাইশ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষণ শুরুর সময় চট্টগ্রামের অনেক এলাকায় অন্ধকার নেমে আসে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎও চলে যায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১০টার দিকেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে টানা দেড় ঘণ্টা ভারি বৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা এমএইচএম মোসাদ্দেক সিভয়েস২৪কে বলেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে চট্টগ্রামের ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দুদিন টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও পাহাড়ধস হতে পারে।’
অন্যদিকে, আবহাওয়া অঅধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ১৮ জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে এখন পর্যন্ত বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসাথে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় মাছধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।