বাংলাদেশ এখন বহুমুখী সংকটে পতিত : নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বহুমুখী সংকটে পতিত। একদিকে দীর্ঘদিনের ভারতীয় আগ্রাসন। এদেশে কারা সরকারে থাকবে, বিরোধী দল কারা হবে। কে এমপি, মন্ত্রী হবে, কে প্রশাসনের শীর্ষ পদে নিয়োগ পাবে, তা ঠিক করে দেয় ভারত।

আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশ ও সমাবেশে শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে, পল্টন মোড়, বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, বিএনপির দলীয় কার্যালয়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘আজ সর্বত্র ভারতীয় আধিপত্য। ভারতীয় আগ্রাসন থেকে দেশকে রক্ষায় ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে আন্দোলন চলছে, তা শহর থেকে গ্রাম, পাড়া-মহল্লা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।

পাশাপাশি এদেশের সবচেয়ে বড় ভারতীয় প্রডাক্ট আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি অবৈধ ভারতীয় লোক রয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। ভারতের পাশাপাশি এখন সমস্যা তৈরি করছে চীন। রাখাইনে চীন, ভারত বিনিয়োগ করেছে।

তারা জান্তা সরকারকে সহযোগিতা করছে, বিদ্রোহীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে কোনো সহযোগিতা করছে না। সরকারের নৈতিক ভিত্তি না থাকায় অন্য দেশগুলো পাত্তা দিচ্ছে না বরং তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। ভারত তাদের স্বার্থে বিনা ভোটের জনবিচ্ছিন্ন এই সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে।’

বাংলাদেশকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলে নামেমাত্র ফিতে ট্রানজিটে ভারত তার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় পণ্য পরিবহন করছে উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ এভাবে দেশকে ঝুঁকিতে ফেলে অন্য দেশকে সুবিধা দেবে না।

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে ভারতকে সব দিচ্ছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনেক আগেই বলেছিলেন বাংলাদেশের উচিৎ বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো। এখন মনে হচ্ছে সেটাই সঠিক।’

তিনি বলেন, ‘১৫ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার পর এখন প্রধানমন্ত্রীও বলছেন, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজি-মাদকের কারবার কারা করছে? সরকারি দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসন। মাদক যুব সমাজকে গ্রাস করছে। ১৫- ২৫ বছরের ৪১ শতাংশ তরুণ পড়াশোনা বা চাকরিতে নেই, অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে উত্তরণ, ইউরোপ-আমেরিকার পোশাকের ক্রেতা কমছে, নতুন বাজার খোঁজা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা হয় না। সংসদ এখন ভোট ডাকাতদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। জনগণকে নিয়ে তাদের ভাবনা নেই। তারা সবাই টাকা-পয়সা কামানোর ধান্দায়।’

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত