চট্টগ্রামের চকবাজারে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে আয়োজিত পদযাত্রা ও সমাবেশ কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন ১৪ জন।
সোমবার (৬ মে) নগরীর সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
হামলার কারণ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম বলেন, ‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে কেন্দ্রঘোষিত একটি কর্মসূচি ছিল। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর কলেজ থেকে পদযাত্রা নিয়ে বের হয়ে দেব পাহাড় ঘুরে আবার কলেজে আসার পথে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করে।
এতে আমিসহ কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কেন হামলা করছে বুঝে উঠতে পারছি না। হামলাকারীরা সবাই বহিরাগত, মহসীন কলেজের কেউ না।’
তবে টেম্পু ভাড়া করাকে কেন্দ্র করে মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন চকবাজার থানা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে ডাকা চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের প্রগ্রামে যাওয়ার জন্য আমরা গাড়ি ঠিক করেছিলাম। দুটি গাড়িতে আমাদের কর্মীরা বসে ছিল। আরেকটি আরেকটি গাড়ি ভাড়া করার সময় মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা এসে বাধা দেয়। আমরা প্রতিবাদ করি, কথা-কাটাকাটি হয়। পরে নাঈম ও মিজানেন নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।
এতে আমিসহ তিনজন আহত হয়েছি।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ‘কথা-কাটাকাটির জের ধরে মহসীন কলেজের বাইরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সামান্য মারামারির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কেউ আহত হওয়ার সংবাদ পাইনি। কাউকে আটকও করা হয়নি।’